বাংলাদেশকে ভূমিকম্প সহনশীল করতে ৫০ বছর লাগবে: প্রতিমন্ত্রী

২০৭১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ভূমিকম্প সহনীয় রাষ্ট্রে পরিণত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান।

শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) বেলা ১১টায় রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

বাংলাদেশকে ভূমিকম্প সহনীয় করতে জাপান সরকার আর্থিক এবং কারিগরি সহায়তার জন্য প্রস্তুত আছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাপানের রাষ্ট্রদূত আমার সঙ্গে কয়েক দফা কথা বলেছেন। আমাদের দেশকে ভূমিকম্প সহনশীল করতে ৫০ বছর সময় লাগবে। কারণ জাপানের মতো রাষ্ট্রকে ভূমিকম্প সহনশীল করতে ৩০ বছর সময় লেগেছে।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, আধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন উন্নত গাণিতিক মডেল ব্যবহার করে ঘূর্ণিঝড় পূর্বাভাস ও সতর্কতা বার্তা প্রদান করা হচ্ছে। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্র থেকে বর্তমানে গাণিতিক আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল ‘ডব্লিউআরএফ’ ব্যবহার করে ৭-১০ দিনের পূর্বাভাস অনেক নির্ভুলভাবে পাওয়া সম্ভব হচ্ছে।

বজ্রপাতে প্রাণহানি কমানোর লক্ষ্যে আগাম সতর্কবার্তা দিতে দেশের আটটি স্থানে পরীক্ষামূলকভাবে বজ্রপাত চিহ্নিতকরণ যন্ত্র বা লাইটনিং ডিটেকটিভ সেন্সর বসানো হয়েছে বলে জানান তিনি।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী বলেন, বজ্রপাতপ্রবণ ১৫টি জেলার ১৩৫ উপজেলায় ৩৩৫টি বজ্র নিরোধক দণ্ড স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া কালবৈশাখী ও টর্নেডোর পূর্বাভাস বিষয়ে বর্তমান সরকার কার্যক্রম শুরু করেছে।

দ্বিতীয় স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের মাধ্যমে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় আরও সময়োপযোগী ও কার্যকরী সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হবে বলে জানান ডা. মো. এনামুর রহমান।

তিনি বলেন, আগাম সতর্কবার্তা প্রচারে দুর্যোগের আগে রেডিও, টেলিভিশন ও মাইকিংয়ের মাধ্যমে প্রচারণার পাশাপাশি টোল ফ্রি ১০৯০ নম্বর চালু করা হয়েছে। এছাড়া বর্তমানে সারাদেশে প্রায় ৩২টি কমিউনিটি রেডিওর মাধ্যমে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে দুর্যোগের আগাম সতর্কবার্তা প্রচার করা হয়ে থাকে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় আগাম সতর্কবার্তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, বন্যা, ঝড়, বৃষ্টি, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস এসব প্রাকৃতিক দুর্যোগের আগাম সতর্কবার্তা প্রস্তুতি ও প্রচারে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। সম্প্রতি দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে তিনদিনে আকস্মিক বন্যার পূর্বাভাস প্রচলন হয়। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর বর্তমানে স্থানীয় পর্যায়ে বন্যার আগাম সতর্কীকরণ ব্যবস্থার উন্নয়ন ও প্রচারের জন্য কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা ও জামালপুর জেলায় একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে।

এআর-০২/১৩/১০ (জাতীয় ডেস্ক)