ঘুমধুম থেকে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ১০০ সদস্যকে টেকনাফে স্থানান্তর

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ১০০ সদস্যকে টেকনাফ উপজেলায় হ্নীলায় পাঠানো হয়েছে। গত চার দিনে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে ঘুমধুম সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছিলেন তারা। পরে তাদের ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু গ্রামের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় দেওয়া হয়। গত কয়েকদিন তারা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ঘুমধুম সীমান্ত বিওপির তত্ত্বাবধানে ছিল।

বৃহস্পতিবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) বিকালে তাদের টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা বিওপির অধীন বিজিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পরে বিজিবির গাড়িতে করে তাদের হ্নীলায় নিয়ে যাওয়া হয়।

জানা গেছে, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্ত-সংলগ্ন এলাকায় যুদ্ধ জোরালো করেছে আরাকান আর্মিসহ কয়েকটি সশস্ত্র গোষ্ঠী। তারা সম্মিলিতভাবে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে। এর মধ্যে তারা কোনও কোনও সীমান্ত শহর দখল করে নিয়েছে। এ অবস্থায় বিদ্রোহীদের সঙ্গে যুদ্ধে টিকতে না পেরে গত শ‌নিবার রাত থে‌কে ঘুমধুম সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন বিজিপির ২৩০ সদস্য। পরে তাদের বিজিবির তত্ত্বাবধানে তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয় দেওয়া হয়। এর মধ্যে ১০০ জনকে টেকনাফ বিজিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম ব‌লেন, ‘মিয়ানমারে চলমান যুদ্ধের কারণে এখন পর্যন্ত বিজিপির ৩৩০ সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। মানবিক দিক থেকে বিবেচনা করে তাদের আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। আজ তুমব্রু থেকে ১০০ জনকে টেকনাফের হ্নীলাতে স্থানান্তর করা হয়েছে।’

এআর-০৩/০৮/০২ (আঞ্চলিক ডেস্ক)