সর্বজনীন পেনশন স্কিমে আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে অংশ নেওয়ার নির্দেশ

সর্বজনীন পেনশন স্কিমে এবার ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা–কর্মচারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী বরাবর এ সংক্রান্ত নির্দেশনা পাঠায়।

এর আগে, গত ৮ ফেব্রুয়ারি ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ একই নির্দেশনা সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী বরাবর পাঠায়।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সর্বস্তরের জনগণকে একটি টেকসই ও সুসংগঠিত সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ে অন্তর্ভুক্তির উদ্দেশ্য পূরণকল্পে আর্থিক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তা–কর্মচারীদের সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধ করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হলো।

সরকার ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি দেশের সর্বস্তরের জনগণকে বিশেষ করে বয়স্ক জনগোষ্ঠীকে টেকসই ও সুসংগঠিত সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ের আওতাভুক্ত করার লক্ষ্যে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইন এবং একই বছরের ১৩ আগস্ট সর্বজনীন পেনশন স্কিম বিধিমালা, ২০২৩ প্রণয়ন করে।

সর্বজনীন পেনশন স্কিমে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা/কর্মচারী বা ওই প্রতিষ্ঠানের মালিক, অনানুষ্ঠানিক খাতে কর্মরত বা স্বকর্মে নিয়োজিত ব্যক্তি, দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী স্বল্প আয়ের ব্যক্তিরা অংশ নিতে পারেন। অংশগ্রহণের সুযোগ রয়েছে বিদেশে কর্মরত বা অবস্থানকারী যে কোনো বাংলাদেশি নাগরিকেরও।

গত বছরের ১৭ আগস্ট সর্বজনীন পেনশন স্কিম কর্মসূচি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনের দিন থেকেই নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু করেন সংশ্লিষ্টরা। নির্ধারিত ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নিবন্ধন প্রক্রিয়া ও চাঁদা জমা শুরু হয়।

মানুষের পেশা ও সামাজিক অবস্থান বিবেচনা করে প্রাথমিকভাবে সরকার চারটি স্কিম ঘোষণা করেছে। প্রবাস, প্রগতি, সুরক্ষা ও সমতা—এই চারটি স্কিম থেকে নিজের অবস্থান অনুযায়ী স্কিম বেছে নেওয়া যাবে।

এর মধ্যে অতি দরিদ্রদের জন্য ‘সমতা’ স্কিম, বিদেশে চাকরিরতদের জন্য ‘প্রবাস’ স্কিম, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ‘প্রগতি’ স্কিম, অনানুষ্ঠানিক খাত ও স্বকর্মে নিয়োজিত ব্যক্তিদের জন্য ‘সুরক্ষা’ স্কিম রয়েছে।

এআর-০৮/১৯/০২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)