ঝালকাঠিতে টোল প্লাজায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১৪

ঝালকাঠির গাবখান সেতুর টোল প্লাজায় খুলনা থেকে ছেড়ে আসা সিমেন্টবাহী একটি ট্রাকের চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে, সেটি প্রচণ্ড গতিতে কয়েকটি গাড়িকে ধাক্কা দিয়ে রাস্তার পাশে চলে যায়। এতে চাপা পড়ে বিভিন্ন গাড়ির ১৪ আরোহী নিহত হয়েছেন। বুধবার বেলা দেড়টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

দুর্ঘটনার পর ট্রাকটির নিচে চাপা পড়া প্রাইভেট কার থেকে শিশুসহ সাত আরোহীর লাশ উদ্ধার করা হয়। ট্রাকের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই নিহত হন ইজিবাইকের চার আরোহী। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে একজন, বরিশালের শের-ই–বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুজনের মৃত্যু হয়। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে সাতজন পুরুষ, তিনজন নারী ও চারটি শিশু।

এ ঘটনায় শের-ই–বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৩ জন ও ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের ৩ জনসহ ১৬ চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, টোল প্লাজায় টাকা দেওয়ার অপেক্ষায় ছিল তিনটি ইজিবাইক, একটি পণ্যবাহী ছোট ট্রাক, একটি প্রাইভেট কারসহ বেশ কয়েকটি গাড়ি। এ সময় খুলনা থেকে ছেড়ে আসা সিমেন্টবাহী ট্রাকটি সেতুর দক্ষিণ দিক থেকে প্রচণ্ড গতিতে টোল প্লাজার সামনে থাকা সব গাড়িকে ধাক্কা দিয়ে প্রতিবন্ধক ভেঙে রাস্তার পশ্চিম পাশে খাদে পড়ে যায়। এতে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। এ সময় প্রাইভেট কারটি ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে। ট্রাকের ধাক্কা খাওয়া তিনটি ইজিবাইকে করে বিয়ের অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন যাত্রীরা।

নিহত ১৪ জনের মধ্যে ৭ জনের পরিচয় মিলেছে। তাঁরা হলেন ঝালকাঠি সদরের গাবখান এলাকার নজরুল (৩৫), ওস্তা খান গ্রামের শফিকুল মাঝি (৫০), নওপাড়া গ্রামের আতিকুর রহমান (১১) ও ইমরান হোসেন (৪০), কাঁঠালিয়া উপজেলার তালগাছিয়া গ্রামের ইব্রাহিমের মেয়ে নুরজাহান (৭) ও প্রাইভেট কারের চালক ইব্রাহিম (৪০)।

ঝালকাঠির এসপি মোহাম্মদ আফরুজুল হক বলেন, পুলিশ ট্রাকের চালক ও তাঁর সহকারীকে আটক করেছে। তাঁরা হলেন ট্রাকের চালক আলামিন ও তাঁর সহকারী নাজমুল শেখ।

এআর-০১/১৭/০৪ (আঞ্চলিক ডেস্ক)