গাজায় নিহত মায়ের পেট থেকে জীবিত উদ্ধার হওয়া শিশুটি মারা গেছে

ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত এক নারীর গর্ভ থেকে প্রসব করা একটি কন্যাশিশু জন্মের মাত্র কয়েক দিন পরেই মারা গেছে। গাজার একটি হাসপাতালে জন্ম হয়েছিল শিশুটির। হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক শুক্রবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। খবর রয়টার্সের।

শিশুটির নাম রাখা হয়েছে সাবরিন আল-রুহ। দ্বিতীয় নামের আরবি অর্থ ‘আত্মা’। তার মা সাবরিন আল-সাকানি (আল-শেখ) শনিবার রাতে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার দক্ষিণের শহর রাফাতে ইসরায়েলি হামলায় নিহত হন।

শিশুটিকে তার মায়ের কবরের পাশে দাফন করা হয়েছে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত রোববার মধ্যরাতের পরপরই রাফার হাসপাতালে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে শিশু সাবরিন আল-সাকানিকে মায়ের পেট থেকে জীবিত উদ্ধার করেছিলেন চিকিৎসকরা।

শিশুটিকে অন্যান্য শিশুদের সঙ্গে ইনকিউবেটরে রাখা হয়েছিল। তার কোমরে একটি টেপ বেঁধে রাখা হয়। এতে লেখা হয় ‘শহীদ সাবরিন আল-সাকানির সন্তান।’

চিকিৎসকরা সে সময়ই শিশুটির অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছিলেন। ১ দশমিক ৪ কেজি ওজনের এই শিশু অপরিণত অবস্থায় জন্ম নেওয়ায় তার শ্বাসপ্রশ্বাসে মারাত্মক সমস্যা ছিল।

হাসপাতালে ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যেও চিকিৎসকরা শিশুটিকে বাঁচানোর জন্য লড়াই করেছেন। হাত পাম্প ব্যবহার করে তার ফুসফুসে বাতাস পৌঁছানোর চেষ্টা করেন চিকিৎসকরা। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। মৃত্যুবরণ করেছে শিশুটি।

গত সপ্তাহে শনিবার রাতে রাফাহের দুটো বাড়িতে ইসরায়েলের বিমান হামলায় নিহত হয়েছিলেন ১৯ ফিলিস্তিনি। তাদের মধ্যে শিশু সাবরিনের মা সাবরিন আল-সাকানিও ছিলেন। মৃত্যুর সময় তিনি সাড়ে ৭ মাসের অন্তঃস্বত্তা ছিলেন।

 
এআর-০৩/২৬/০৪ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)