চার জেলায় বজ্রপাতে প্রাণ গেল ৬ জনের

চার জেলায় বজ্রপাতে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (৬ মে) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাতে শরীয়তপুরের দুই উপজেলায় তিনজন, সিলেটের কানাইঘাটে একজন, নেত্রকোণার আটপাড়ায় একজন ও ফরিদপুরের মধুখালীতে একজনের মৃত্যু হয়।

শরীয়তপুরের জাজিরা ও ভেদরগঞ্জ উপজেলায় বজ্রপাতে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার দুপুরে ও বিকেলে বৃষ্টির সময় বজ্রপাতে তাদের মৃত্যু হয়। বৃষ্টির মধ্যে মায়ের খোঁজ করতে গিয়েছিলেন আমেনা বেগম। ফসলি মাঠের মধ্য দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে মাকে খুঁজছিলেন তিনি। এ সময় হঠাৎ বজ্রপাতের আঘাতে মারা যান আমেনা বেগম।

অন্যদিকে শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর থানার চরসেনসাস ইউনিয়নের বেড়াচাক্কি গ্রামে সয়াবিন ক্ষেতে কাজ করছিলেন নেছার উদ্দিন মাঝি। দুপুরে তার স্ত্রী কুলসুম বেগম স্বামীর জন্য দুপুরের খাবার হিসেবে ভাত নিয়ে গিয়েছিলেন সয়াবিন ক্ষেতে। এ সময় হঠাৎ করেই ঝড়সহ বজ্রপাত শুরু হলে বজ্রপাতের আঘাতে কুলসুম বেগম মারা যান।

এছাড়াও জাজিরা উপজেলার কুন্ডেরচর ইউনিয়নের বাবুরচরের একটি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণ করতে গিয়ে বজ্রপাতে আব্দুল হান্নান নামে এক নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার বিকেলে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার কুন্ডেরচর ইউনিয়নের বাবুরচর এলাকার সরল খার কান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

সিলেটের কানাইঘাটে মাঠে গরু চরাতে গিয়ে বজ্রপাতে মাহতাব উদ্দিন মাতাই (৪৫) নামে এক ওমান প্রবাসীর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার সকালে উপজেলার দীঘিরপার ৩নং পূর্ব ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। মাহতাব উদ্দিন মাতাই উপজেলার দর্পনগর পশ্চিম করচটি গ্রামের রফিকুল হকের ছেলে।

ফরিদপুরের মধুখালীতে বজ্রপাতে মুরাদ মল্লিক (৫০) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন মো. কামরুজ্জামান (৪৫) নামের আরেক কৃষক। সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার কামালদিয়া ইউনিয়নের মীরেপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

কামালদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ওয়ালিদ হাসান বলেন, দুই কৃষক মীরেপাড়া গ্রামের একটি ক্ষেতে কাজ করছিলেন। এ সময় বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। এলাকাবাসী তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মুরাদ মল্লিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

নেত্রকোণার আটপাড়ায় বোরো জমিতে ধান কাটার সময় বজ্রপাতে মো. দিলওয়ার মিয়া (৩৫) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার স্বরমুশিয়া হাওরে এ ঘটনা ঘটে। দিলওয়ার মিয়া উপজেলার স্বরমুশিয়া গ্রামের ফিরোজ মিয়ার ছেলে।

আটপাড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ তাওহিদুর রহমান বলেন, সোমবার সকালে বাড়ি থেকে দিলওয়ার নিজের জমির ধান কাটতে হাওরে যান। এ সময় বজ্রপাতে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এআর-০২/০৬/০৫ (আঞ্চলিক ডেস্ক)