ডিবি কার্যালয় ফিরে বুয়েট শিক্ষার্থীরা বললেন, আরও কিছু বিষয় পরিষ্কার হওয়া দরকার

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশ আত্মহত্যা করেছেন এটা ডিবির তথ্য প্রমাণ থেকে ধারণা করা যায়। তবে ফারদিনের এই আত্মহত্যার পেছনে কোনো সলিড তথ্য দেখায়নি ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। এমনটিই জানিয়েছেন ফারদিনের সহপাঠীরা।

আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ডিবির আহ্বানে বুয়েটের ৩১ জন শিক্ষার্থী ডিবি কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। দুই ঘণ্টা অবস্থান শেষে কার্যালয় থেকে বের হয়ে তাঁরা সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।

গতকাল ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ দাবি করেন ফারদিন আত্মহত্যা করেছেন। এই দাবির পর পরই ফারদিনের পরিবার ও সহপাঠীরা এর সমালোচনা করেন। এরপর ফারদিনের সহপাঠীরা আজ বৃহস্পতিবার বুয়েটে প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দেয়। পরে ফারদিন আত্মহত্যার ‘তথ্য-প্রমাণ’ দেখার জন্য ডিবি কার্যালয়ে আসার জন্য আহ্বান জানালে তাঁরা প্রতিবাদ কর্মসূচি সাময়িক স্থগিত করে ডিবি কার্যালয়ে যান।

ডিবি কার্যালয় থেকে বের হয়ে কারও নাম উল্লেখ না করে বুয়েট শিক্ষার্থীরা বলেন, তদন্তে পাওয়া ফাইন্ডিংস তারা (ডিবি) আমাদের দেখিয়েছে। আমাদের কাছে আলামতগুলো প্রাসঙ্গিক বলে মনে হয়েছে। এগুলোর পেছনে তারা বেশ এফোর্ড দিয়েছে। তবে কিছু কিছু বিষয়ে গ্যাপ আছে। তবে আমরা আশা করি, তারা আরও কাজ করবেন।

আলামত যা দেখেছেন সেগুলো যথেষ্ট বলে মনে করেন কি না? জানতে চাইলে তারা বলেন, তাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তারা বলেছে শতভাগ তো করা সম্ভব না, কিছু কিছু ক্ষেত্রে গ্যাপ আছে। সে ক্ষেত্রে তারা ভবিষ্যতে আরও কাজ করবেন। আমাদের যে পয়েন্টগুলো ছিলো আমরা বলেছি। তারা এটা নিয়েও কাজ করবে।

সর্বশেষ সিদ্ধান্ত কী নিবেন জানতে চাইলে তাঁরা বলেন, আমরা নিজেরা আলোচনা করে জানাব। তাদের (ডিবি) কথা ও চেষ্টা প্রাসঙ্গিক মনে হয়েছে। কিছু গ্যাপও আছে। সেগুলো আরও পরিষ্কার হওয়া দরকার। একটা প্রাথমিক গ্যাপ রয়েছে সেটা হচ্ছে ব্রিজের যেখানে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে সেখানে তাঁর (ফারদিন) সঙ্গে কে ছিলো। সে একদম একা ছিলো কি না সে বিষয় স্পষ্ট কিছু বলে নাই। লেগুনা চালকও নাকি বলেছে ওই স্থানে দুজন নেমেছে। কে নেমেছে এই বিষয়টা ক্লিয়ার না। এর বাইরে অন্যান্য যা আছে সেটি কংক্রিট বলেছে। তারা আমাদের বিস্তারিত বলেছে।

আপনারা তথ্য প্রমাণে সন্তুষ্ট কি না জানতে চাইলে বলেন, আমরা তাদের চেষ্টায় সন্তুষ্ট, অনেকটা আশ্বস্ত। ডিবির সহযোগিতায় আমরা আশ্বস্ত। আর যেহেতু তদন্ত শেষ হয়নি। মামলার রিপোর্ট জমা দেয়নি। তার মানে তাদেরও কিছু না কিছু কাজ বাদ রয়েছে বলে মনে করি। তদন্ত শেষ হলে তো তারা প্রতিবেদন জমা দিত। এখন তারা প্রথম দিন থেকে কাজ করেছে সবই দেখিয়েছে। আমরা তাদের কাজ ও অগ্রগতিতে সন্তুষ্ট। তারা অনেক কাজ করেছে আমরা তাদের ধন্যবাদ জানাই।

তথ্য প্রমাণ দেখে আত্মহত্যা মনে হয়েছে কি না জানতে চাইলে তারা বলেন, এই বিষয়ে শতভাগ কোনো তথ্য-প্রমাণ নেই। তারা (ডিবি) আমাদের কিছু তথ্য দেখিয়েছেন যা কাছাকাছি বলা যায়। এই কথায় হয়তো মনে হতে পারে যে আত্মহত্যা করেছে। তবে সেই রকম কোনো সলিড তথ্য দেখায়নি।

কিন্তু এই বিষয় তাদের তদন্তের জায়গা থাকতে পারে। আত্মহত্যার মোটিভটা নিয়ে তারা বলেছেন কাজ করবে। এটা পরিষ্কার করতে হয়তো তাদের সময় লাগবে।

শান্ত-(জাতীয়)