সংগঠন বলতে বাংলাদেশে একমাত্র আ.লীগই আছে: শেখ হাসিনা

সংগঠন বলতে বাংলাদেশে একমাত্র আওয়ামী লীগই আছে উল্লেখ করে দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘সংগঠন বলতে সারা বাংলাদেশে, যদি সত্যি কথাটা বলা যায় তবে আওয়ামী লীগই আছে। এটা ঠিক। আমরা তো মাটি মানুষ থেকে গড়ে ওঠা সংগঠন। আর বিএনপি-জাতীয় পার্টি এগুলো তো অবৈধভাবে সংবিধান লঙ্ঘন করে ক্ষমতা দখলকারী। একজন মিলিটারি শাসক, তার পকেট থেকে বের হওয়া। এরা ভাসমান। কাজেই এদের দায়-দায়িত্বটা জনগণের ওপর নেই। যদিও তারা দাবি করে অনেক বছর ক্ষমতায়। কিন্তু ক্ষমতায় থেকেই তারা নিজেদের ভাগ্য গড়েছে, বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য গড়েনি।’

রবিবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে গণভবনে আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত কমিটি গঠনের পর নেতাকর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগের কাজ হচ্ছে জনগণের ভাগ্য গড়া। আর সেটাই আমরা কিন্তু করে যাচ্ছি এবং সেটা আমাদের করতে হবে। মানুষের আস্থা-বিশ্বাস এটাই আমাদের বড় শক্তিই। আমাদের আর কোনও শক্তি নাই। একমাত্র জনগণের শক্তিতেই আমরা বিশ্বাস করি।’

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগই দেশের জনগণের জন্য কাজ করে এবং আওয়ামী লীগের প্রচেষ্টায় বাংলাদেশের মানুষের আজ ভাগ্য ফিরে এসেছে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘কেউ যদি খুব স্বাধীনচেতা হয় তাহলে অনেকেই তাদের পছন্দ করে না। অনেক বড় বড় দেশ, আমাদের স্বাধীনতার বিরোধীরা কখনও এটা পছন্দ করবে না। কিন্তু আমাদের জনগণকে যদি আমরা ঠিক রাখতে পারি তবে বাংলাদেশের উন্নয়ন, বাংলাদেশের মানুষের উন্নতি এটা কেউ আটকাতে পারবে না। যেটা জাতির পিতা বলে গিয়েছিলেন কেউ দাবায় রাখতে পারবা না, সেটা পারবে না।’

তিনি বলেন, ‘কাজেই এটা আপনারা সবাই সবসময় মাথায় রেখেই সংগঠনটির ওপর বেশি গুরুত্ব দেবেন এবং সংগঠনকে শক্তিশালী করবেন, এটাই আমার অনুরোধ।’

নতুন সদস্য সংগ্রহের ওপর জোর দিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘আমরা কিন্তু বই ছাপিয়ে দিয়েছি সদস্য সংগ্রহ করার। এই কাজটা আমাদের প্রত্যেকটা জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড পর্যায় পর্যন্ত সবাইকে সম্পন্ন করতে হবে এবং মুড়ি বইগুলো ফেরত দিতে হবে।’

বিভিন্ন ইউনিটের সম্মেলনগুলো যথাসময়ে করার তাগিদ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘সম্মেলনটা আপনারা যথাযথ সময় করবেন। আমরা আবার নতুনভাবে টিম করে দেবো। একটা বিভাগে বিভাগীয় যে টিম আমরা করে দেবো তাদের ওপর দায়িত্ব থাকবে প্রত্যেকটা জায়গায় সদস্য সংগ্রহ হলো কিনা। অনেকগুলো এখনও বাদ রয়ে গেছে, একটাও যেন বাদ না থাকে।’

তিনি আরোও বলেন, ‘দোয়া করবেন। আপনারা নির্বাচিত করেছেন আবার। এই এতবার আমার মনে হয় একটা পার্টির দায়িত্বে থাকা ঠিক না। এরপরও এখন যেহেতু সারা বিশ্বব্যাপী একটা দুঃসময়…। বিশ্বব্যাপী দুঃসময়ের জন্যই আমি হয়তো মানা করিনি। কিন্তু আমার বয়স হয়েছে এটা মনে রাখতে হবে। সংগঠনটা যেন ঠিক থাকে, চলতে থাকে সেই ব্যবস্থাটা করতে হবে।’

গণভবনে নেতাকর্মীদের স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যাই হোক আপনারা এসেছেন কষ্ট করে। আপনারা কষ্ট করে এসেছেন গণভবনে, এই ভবন আপনাদেরই ভবন। এটা নাম আব্বা দিয়েছেন গণভবন, কারণ এটা জনগণেরই ভবন।’

গণভবনে টানা দশমবারের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান আওয়ামী লীগসহ এর সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা। কেন্দ্রীয় নেতাদের পাশাপাশি তৃণমূল নেতারাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

গণভবনে শুভেচ্ছা বিনিময়ের আগে সকাল ১০টায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে রক্ষিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত সভাপতি শেখ হাসিনা ও সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।

এআর-০৫/২৫/১২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)