নেপালে সেতি নদীর তীর বিপজ্জনক হওয়ার কারণে ইয়েতি এয়ারলাইন্সের দুর্ঘটনায় পড়া উড়োজাহাজে উদ্ধার অভিযান শুরুতে ব্যহত হয়। ৭২ যাত্রীবাহী উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হওয়ার পর শুরুতে স্থানীয় গ্রামবাসী উদ্ধারে নেমে পড়েন।
কর্মকর্তারা বলেছেন, পোখারায় রবিবার এই দুর্ঘটনায় অন্তত ৬৮ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে পাঁচ ভারতীয় নাগরিক রয়েছেন।
উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের কাছাকাছি এক বাড়ির বাসিন্দা অরুণ থামু। ঘটনার বর্ণনা করতে গিয়ে তিনি বলেন, আমরা প্রচণ্ড শব্দ শুনতে পাই। দৌড়ে গিয়ে দেখি শুধু আমাদের গ্রামের মানুষ। পুলিশ ঘটনাস্থলে কিছু সময় পরে পৌঁছায়। আমরা উদ্ধার কাজে নেমে পড়ার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে।
থামু বলেছেন, গ্রামবাসীরা শুরুতে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। জ্বলন্ত উড়োজাহাজে বালতি দিয়ে পানি দিতে শুরু করেন সবাই।
তার কথায়, আমরা ১০-১২ জনকে বের করে নিয়ে আসি। তাদের দুজনের শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল। সেতি নদীর তীর বিপজ্জনক হওয়ার কারণে উদ্ধার কাজ ব্যহত হয়। কারণ গ্রামের লোকেরা বিধ্বস্ত উড়োজাহাজের কাছাকাছি যেতে পারছিলেন না।
থামু বলেন, যেখানে উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়েছে সেখানে যাওয়া কঠিন। আমরা আগুনে ঝাঁপও দিতে চাইনি। নদীর পানিতে উড়োজাহাজটি ভেসে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল। পুলিশ হাজির হওয়ার পর উদ্ধার কাজ গতি পেয়েছে।
এআর-০৮/১৫/০১ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)