কুম্ভের জাতকেরা কেন সেরা, বিজ্ঞানীদের রহস্য ভেদ!

কুম্ভের জাতকেরা কেন

রাশিফল আপনি বিশ্বাস করেন কি না, জানি না। তবে বিজ্ঞানীরাও গবেষণা করে দেখিয়েছেন, কুম্ভ রাশির জাতকেরা অন্য সবার থেকে আলাদা হন। সহজে বললে, ধনী এবং সেলিব্রেটি।

বিজ্ঞানীদের ভাষ্যে, কুম্ভ রাশির জাতকেরা অন্য রাশির জাতকদের চেয়ে ধনী এবং জনপ্রিয় হয়ে থাকেন। এরা ২০ জানুয়ারি থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে জন্মগ্রহণ করেন এবং এক সময়ে বিশ্বে সেলিব্রেটি হয়ে থাকেন।

বিভিন্ন রাশির জাতকদের ব্র্যাকগ্রাউন্ড, ক্যারিয়ার এবং আরও জীবনাচরিতের র্যাগনডম নমুনা নিয়ে গবেষণা করে বিজ্ঞানীরা এমন সারসংক্ষেপে এসেছেন বলে খবর দিয়েছে ডেইলি মেইল।

এতে বলা হয়েছে, কুম্ভ রাশির ছেলেমেয়েরা সবচেয়ে সহযোগী মনোভাবের হয়। ফলে তারা দ্রুত ধনী এবং জনপ্রিয় হয়ে উঠতে পারেন।

এই নমুনা গবেষণায় অভিনেতা-অভিনেত্রী, রাজনীতিক, প্রকৃতি বিজ্ঞানী, সামাজিক বিজ্ঞানী, লেখক, সমাজকর্মীদের মধ্যে বিভিন্ন আইকন ব্যক্তিত্বকে নেয়া হয়েছে, যাদের জন্ম তারিখ কমবেশি সবারই জানা।

বিজ্ঞানীরা প্রথমে ১০০ জনের ওপর গবেষণাকাজ চালান। পরে ২০০, এভাবে ৩০০ জনকে নিয়ে উপসংহারে আসেন। প্রত্যেক ক্ষেত্রেই কুম্ভ রাশির ক্ষেত্রে একই ফলাফল এসেছে।

ভাইস ব্রডলির এক নিবন্ধে বলা হয়েছে, কুম্ভ রাশির জাতকেরা গভীর চিন্তাশীল হন। তাদের মধ্যে ভাগ্যকে নিজে গড়ার প্রবণতা এবং আমিই ‘অন্যতম’ হওয়ার মনোভাব সব সময় কাজ করে।

এই নিবন্ধে আরও বলা হয়, কুম্ভ রাশির মানুষেরা স্বাধীন চেতনার প্রতি আগ্রহী হন। ভীরু-কাপুরুষ থেকে নিজেকে দূরে রাখেন। কিন্তু, তারা সম্প্রদায় তৈরি এবং বন্ধুত্ব গড়তে ভালবাসেন। অনেক ক্ষেত্রে তারা নিজেকে কিছুটা ‘বিদ্রোহী’ ভাবতেও পছন্দ করেন।

এরপরই ডেইলি মেইলের প্রতিবেদনে কুম্ভ রাশির জাতক কয়েকজনের নাম দেয়া হয়েছে। এখন এই নামগুলো থেকে আপনিই বিচার করুন, বিজ্ঞানীদের গবেষণা ভুল, না সঠিক?

কুম্ভ রাশির এসব জাতকেরা হলেন, ফুটবলার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো, বাস্কেটবল খেলোয়াড় মাইকেল জর্ডান, অভিনেতা অ্যাস্টন কুচার, ক্রিশ্চিয়ান ব্যালে, টিভি অ্যাঙ্কর অপরা উইনফ্রে, অভিনেত্রী জেনিফার অ্যানিস্টন, সঙ্গীতশিল্পী বব মারলে (প্রয়াত), মার্কিন প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন রুজভেল্ট (প্রয়াত)।

অবশ্য একই গবেষণায় বিজ্ঞানীরা দেখিয়েছেন, মেষ রাশির জাতকেরা যাদের জন্ম মার্চ ২১ থেকে ১৯ এপ্রিল, তারা ‘মাথা গরম’ প্রকৃতির হন।

তাদের অভিবাসনের অভিজ্ঞতা বেশি। এরা জীবনে অনেক ভোগান্তির শিকার হন, স্ট্রেসে থাকেন এবং অনিদ্রায় ভোগেন।

আরএম-২৩/২৪/০১ (লাইফস্টাইল ডেস্ক)