ঠিক এই বয়সেই মেয়েরা কামিনী হয়!

ঠিক এই বয়সেই

গর্ভধারণের সম্ভাবনা যত কমে আসে তত বাড়তে থাকে যৌন উদ্দীপনা। সাম্প্রতিক সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, উর্বরতার হার কমে এলে বেশির ভাগ নারীর মনে তীব্র যৌন আকাঙ্খা জাগে।

নিভে যাওয়ার আগে জ্বলে ওঠে দীপশিখা। তেমনই যৌবনের সূর্য কিঞ্চিত্‍ ঢলে পড়লে গতি পায় যৌনতা।

ইউনিভার্সিটি অফ টেক্সাস-অস্টিনের সাম্প্রতিক সমীক্ষা বলছে, ২৭ থেকে ৪৫ বছর বয়সী নারীর মধ্যে যৌন কামনা তীব্রতম রূপে দেখা যায়।

চিকিত্‍সাশাস্ত্র মতে, এই বয়সে নারীর সন্তানধারণের স্বাভাবিক ক্ষমতা ধীরে ধীরে কমে আসে। অথচ সেই সময় জেগে ওঠে প্রবল যৌন কামনা।

তিরিশ থেকে চল্লিশের কোঠায় পৌঁছনোর পর শ্লথ হয়ে পড়ে যৌবন-ঘড়ির কাঁটা। শরীরের সঙ্গে সঙ্গে মনও জানান দেয় আসন্ন প্রৌঢ়ত্বের হাতছানি।

পুরুষদের ক্ষেত্রে এই সময় যেমন দেখা দেয় মিড-লাইফ ক্রাইসিস, নারীমনে ঠিক তখনই তীব্র যৌনতৃষ্ণার উদয় হয়। যৌবনের শেষ পর্বে এসে শরীরী উন্মাদনার প্রতিটি বিন্দু পান করতে সে মরিয়া হয়ে ওঠে। জীবনের এই সন্ধিক্ষণে শয়নে স্বপনে যৌন ইচ্ছা জাগে তো বটেই, অনেকে ঘন ঘন যৌন মিলন এমনকি কামতাড়িত হয়ে নিষিদ্ধ সম্পর্কের ফাঁদেও অনেকেই পা দেন।

মনোবিদ জুডিথ এডিসন জানিয়েছেন, ‘কুড়ির শেষ থেকে মধ্য চল্লিশ পর্যন্ত মেয়েদের শরীরে সন্তানধারণের ক্ষমতায় ভাটা পড়ে। পাশাপাশি, যৌবনের মাঝ দরিয়ায় পৌঁছে তাঁরা হঠাত্‍ তীব্র যৌন উত্তেজনা বোধ করতে থাকেন।’

এই মানসিক পরিবর্তন প্রকৃতির নিয়ম মেনে জীবনে প্রবেশ করে, জানিয়েছেন মনোবিদ। জীবজগতের আদিম প্রবণতা অনুসারেই শরীর-মনে এই বিক্রিয়া ঘটে বলে তাঁর দাবি।

আরএম-১৩/১৬/০২ (লাইফস্টাইল ডেস্ক)