সন্তান জন্মের পর মায়ের ফিগার পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসতে যা করনীয়

সন্তান জন্মের পর

সন্তান জন্মের পর মায়ের ফিগার পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসতে যা করনীয়! নারী গর্ভবতী কালীন থাকা অবস্থায় অনেক ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন নিদ্রাহীনতা, সন্তান জন্মদানের ভয়, জরায়ুর রোগ ইত্যাদি। এছাড়া অনেক মায়েরাই সন্তান জন্মদানের পর তাদের শরীরের আকর্ষনীয় ভাব ও স্বাস্থগত দিক নিয়ে চিন্তিত হয়ে থাকে। পরিকল্পিত খাদ্যাভ্যাস এবং ব্যায়ামের পাশাপাশি এ অবস্থায় যা যা করতে হবে –

১. সন্তান জন্মের পর পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসার জন্য ব্যায়াম জরুরী। তবে এ ক্ষেত্রে সঠিক ব্যায়ামটি করতে হবে।

২. প্রথম সপ্তাহগুলোতে সামান্য হাঁটাহাটিঁ করলে ভালো। স্বাভাবিক দিনগুলোতে নতুন মায়েরা হাঁটাকে একটি আদর্শ ব্যায়াম হিসেবে নিতে পারেন।

৩. গর্ভাবস্থায় স্বাস্থ্য ভালো থাকলে পেলভিক ফ্লোর ব্যায়াম করা যেতে পারে। স্বাস্থ্য ভালো না থাকলে সন্তান জন্মদানের পরই তা শুরু করতে হবে। মূত্রথলিকে স্বাভাবিক রাখতে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও বাড়তি সুবিধা হিসেবে এটি যৌন তৃপ্তি বাড়িয়ে দিতে পারে।

৪. শরীরে শক্তি এবং নমনীয়তা বাড়াতে যোগব্যায়াম উপকারী। এছাড়া সপ্তাহে কয়েকবার বায়ুজীবী ব্যায়ামের মাধ্যমে হৃদস্পন্দনও বাড়ানো প্রয়োজন।

৫. সম্ভব হলে সাঁতার কাটতে পারেন। এটি সার্বিক দিক থেকে একটি সঠিক ব্যায়াম এবং হৃদস্পন্দন বাড়ায়। কিন্তু এতে আঘাত পাওয়ার ঝুঁকি থাকে। সন্তান জন্মের পর স্তনকে দৃঢ় করতেও সাঁতার উপকারী।

৬. গর্ভবতী নারীদের আরেকটি সমস্যা হল পেটে লম্বা দাগ পড়ে। গর্ভাবস্তায় ভিটামিন ই, ল্যাভেন্ডার, ক্যালেনডুলা ইত্যাদি সমৃদ্ধ তেল এবং ময়েশ্চারাইজার ক্রিম ব্যবহার করলে এই দাগ দূর হয়।

৭. পেটের পেশীগুলোকে দীর্ঘ এবং ধীর পদ্ধতিতে পেছনের দিকে টেনে নেয়ার কাজটি করলে ভালো। কিছুক্ষণ রেখে নিঃশ্বাস নিন এরপর ছেড়ে দিন। দিনে যতবার সম্ভব এ ব্যায়ামটি করলে ভালো। এটি পিঠের জন্য ভালো এবং সন্তান জন্মের পর পিঠের স্বাভাবিক ব্যথা দূর করে। কাত হয়ে চাপ সৃষ্টির মাধ্যমে ব্যায়াম করা যেতে পারে। একটি দেয়ালের সঙ্গে পিঠ ঠেকিয়ে দাড়ান। পিঠের নিচের অংশ এবং দেয়ালের মধ্যে এক হাত ফাঁকা রাখুন। কিছুক্ষণ এভাবেই থাকুন।

৮. গর্ভবতী এবং নতুন মায়ের জন্য খাবার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এসময় পর্যাপ্ত প্রোটিন, চর্বি এবং কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবার খেতে হবে। ক্যালসিয়াম বাড়াতে বাড়তি দুধ এবং দই খেতে হবে। বেশী লবন বা মশলাযুক্ত খাবার এবং ভাজা খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। খাদ্যতালিকায় প্রচুর পরিমাণে ফল, সবজি এবং বাদাম রাখা উচিত।

আরএম-১১/২৮/০২ (লাইফস্টাইল ডেস্ক)