একজনের বেশি স্থায়ী সঙ্গী রাখতে বাধা কোথায়?

একজনের বেশি স্থায়ী

আদিম মানব সমাজে যৌনতা অবাধ ছিল বলেই জানা যায়। তাহলে হঠাৎ মানুষ একগামী হয়ে পড়ল কেন? এই প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজতে গবেষণায় নেমেছিলেন কানাডার ওয়াটারলু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকরা। তাঁদের গবেষণায় উঠে এসেছে বেশ কিছু চমকপ্রদ তথ্য।

কোনও আধুনিক সভ্য সমাজেই বহুগামিতাকে প্রশ্রয় দেওয়া হয় না। যদি কেউ একাধিক স্থায়ী যৌন সঙ্গী রাখেন তাহলে সমাজ তাঁকে বক্রদৃষ্টিতে দেখবেই। কিন্ত ছবিটা কি ‌চিরকালই এমনই ছিল?

আদিম মানব সমাজে যৌনতা অবাধ ছিল বলেই জানা যায়। তাহলে হঠাৎ মানুষ একগামী হয়ে পড়ল কেন? এই প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজতে গবেষণায় নেমেছিলেন কানাডার ওয়াটারলু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকরা। তাঁদের গবেষণায় উঠে এসেছে বেশ কিছু চমকপ্রদ তথ্য।

গবেষকরা মনে করছেন, মূলত যৌন সংক্রামক ব্যাধিই মানুষকে যৌন একগামিতার দিকে ঠেলে দেয়। নেচার কমিউনিকেশন জার্নালে প্রকাশিত এই গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, আদি শিকারী-মানবসমাজে একজন পুরুষের বহু নারীর সঙ্গে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার অভ্যাস ছিল।

কিন্তু এহেন যৌনজীবন অচিরেই তাদের গুরুতর যৌন ব্যাধিতে আক্রান্ত করে। এবং তারা বুঝতে পারে যে, এর পরিণামে তাদের যৌনক্ষমতা ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে।

সেকালে চিকিৎসাব্যবস্থার অনুন্নতি সিফিলিয়া, গনোরিয়া, বা ক্ল্যামিডিয়া ইত্যাদি যৌনরোগকে দুরারোগ্য করে তোলে। মানুষ ফলত তাদের যৌন অভ্যাসকে পরিবর্তিত করতে বাধ্য হয়।

গবেষকরা জানিয়েছেন, মানুষের এই অভ্যাসই ক্রমশ সামাজিক রীতিতে পরিণত হয়। একজনমাত্র স্থায়ী যৌন সঙ্গীকেই সমাজ স্বাভাবিক বলে মনে করতে শুরু করে। তা থেকেই আধুনিকতর সমাজে একজন পুরষের সঙ্গে একজন নারীর বিবাহের প্রথা প্রচলিত হয়।

অর্থাৎ মানুযের যৌন অভ্যাসের পরিবর্তনের নেপথ্যেও তার যৌন চাহিদাই নিয়ামক শক্তিই ক্রিয়াশীল ছিল বলে দাবি করেছে এই গবেযণাপত্র।

আরএম-২৭/১০/০৩ (লাইফস্টাইল ডেস্ক)