ঘরোয়া উপায়ে বাড়িয়ে তুলুন আপনার সন্তানধারণের ক্ষমতা

ঘরোয়া উপায়ে বাড়িয়ে

সন্তানধারণে সমস্যা হচ্ছে? এমনটা কোন নতুন বা দুর্লভ কিছু নয়। প্রতি বছরেই পৃথিবীর অনেক দম্পতি মুখোমুখি হচ্ছেন এই অনাকাঙ্ক্ষিত সমস্যাটির। চিকিৎসকের দিকে তাকিয়ে দিনের পর দিন কেটে যাচ্ছে তাদের কেবল একটি সন্তানের আশায়। হ্যাঁ, আপনারও যদি এমন কোন সমস্যার সামনে দাড়াতে হয় তাহলে সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের কাছে আপনি অবশ্যই যাবেন। তবে তার আগে দেখে নিন এই ঘরোয়া উপায়গুলো, যেগুলো আপনার সন্তানধারণ ক্ষমতাকে বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করবে।

১. শরীরের তাপমাত্রা মেপে রাখুন

প্রতিদিন জিহ্বার নীচে থার্মোমিটার রেখে শরীরের তাপমাত্রা মাপুন। কেবল মাপলেই হবেনা, পুরোটার একটা হিসেব লিখে রাখুন। এবার সেই হিসেবানুযায়ী খেয়াল করুন যে মাসের কোন সময় বা কোন দিনে আপনার শরীরের তাপমাত্রা অন্যসব দিনের চাইতে বেশি থাকছে। উক্ত সময়ে ডিম্বাণু তৈরি হয় বিধায় শরীরের তাপমাত্রা বেশি থাকে। আর তাই চেষ্টা করুন স্বাভাবিকের চাইতে একটু বেশি তাপমাত্রা থাকা এই দিনগুলোতেই সঙ্গীর সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতে।

২. অ্যালকোহল থেকে দূরে থাকুন

সাধারণত অ্যালকোহল মায়ের শরীরকে বাজেভাবে প্রভাবিত করে। পিরিয়ডের চক্র আর শরীরের হরমোনকে বিঘ্নিত করে দিয়ে সন্তানধারণ ক্ষমতাকে কমিয়ে দেয়। এছাড়াও গর্ভে শিশু আসার কয়েক সপ্তাহ পর একজন মা সেটা জানতে পারেন। এসময় তার পান করা অ্যালকোহল শিশুর জন্যে হয়ে উঠতে পারে ক্ষতিকর।

৩. মাছ খাওয়া থেকে বিরত থাকুন

যদিও মাছের ভেতরে থাকা ওমেগা ৩ আপনার শরীরে জন্যে ভালো, গবেষণায় পাওয়া গিয়েছে যে, বিভিন্ন স্থান থেকে আসা মাছ নারীদের শরীরের সন্তানধারণ ক্ষমতাকে কমিয়ে দেয়। কারণ, মাছকে দ্রুত বড় করে তুলতে ব্যবহার করা হয় নানারকম রাসায়নিক পদার্থ। সেইসাথে পানিতে থাকে পারদের মতন কিছু বিষাক্ত পদার্থ। যেটি কিনা মোটেও সন্তানধারণের জন্যে ইতিবাচক নয়।

৪. অন্যান্য…

এছাড়াও শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের সময় লুব্রিকেন্ট ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। যোগব্যায়ামের মতন কিছু উপায় অবলম্বন করুন যেগুলো আপনাকে শারিরীক ও মানসিকভাবে শান্তিপূর্ণ অবস্থানে পৌঁছতে সাহায্য করবে। এমন সব ঔষধ থেকে দূরে থাকুন যেগুলো আপনার সন্তানধারণ ক্ষমতাকে ব্যহত করে। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী মাল্টিভিটামিন সেবন করতে পারেন আপনি নিয়মিত। পরীক্ষায় দেখা যায় যে মাল্টিভিটামিন নিয়মিত সেবনকারীদের পিরিয়ড ও হরমোন ঠিকঠাক থাকে বিধায় তাদের সন্তানধারণ ক্ষমতাও অন্যদের চাইতে বেশি থাকে।

আরএম-২৬/০৫/০৫ (লাইফস্টাইল ডেস্ক)