আম চেনার যত উপায়

আম চেনার যত

বাজার থেকে আম কিনেছেন গোপালভোগ কিন্তু বাসায় এসে জানা গেলো এটি রাণী পছন্দ। অথবা ফজলী আমের দাম দিয়ে কিনলেন আশ্বিনা। মধু মাসে আম কিনতে গেলে অনেকেই এ ধরনের সমস্যায় পড়েন প্রায় কাছাকাছি সময়ে নানান জাতের আম বাজারে আসায় পছন্দের আম কিনতে হিমশিম খান ক্রেতারা।

কোন আম দেখতে কেমন? 

বাজারে যে জাতের আম আমরা প্রথমেই পাই সেটি হলো গোপালভোগ। এটির গায়ে দেখবেন হলুদ ছোপ ছোপ দাগ আছে আর এটি নিচের দিকে একটু সরু। এটি পাকলে হলুদ ভাব আসে। মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে এই বাজারে পাওয়া যায়।

এটির কাছাকাছি আরেকটি আম আছে রাণী পছন্দ। পোগালভোগের মতো এটির গায়েও হলুদ দাগ আছে কিন্তু আকারে হবে এটি ছোট। তাই গোপালভোগের সাথে রানী পছন্দ মেশালে বুঝা যায় না।

খিরসাপাত আম মে মাসের শেষে বা জুনের প্রথম সপ্তাহে বাজারে আসে। এটি খুবই মিষ্টি আম। খিরসাপাতটাই ঢাকায় গিয়ে হিমসাগর হয়ে যায়। খিরসাপাত আম একটু বড় আকারে হয়। আমে হালকা দাগ আছে।

আশ্বিনা আর ফজলী আম দেখতে একই রকম। না ঠকতে চাইলে জানতে হবে যে- আশ্বিনা আমটি একটু বেশি সবুজ। আর ফজলী আম একটু হলুদ হয়। আশ্বিনার একটু পেট মোটা হয়। আর ফজলীর পেট মোটা হয় না দেখতে লম্বা ধরনের হয়। ফজলী আম যখন আসে তখন অন্য আম খুব একটা বাজারে থাকে না। এটি জুলাইয়ের মাঝামাঝি বাজারে আসে। তবে এটি ল্যাংড়া গোপালভোগের মতো মিষ্টি হয় না।

বারি আম-২ বা লক্ষণভোগ চেনার একমাত্র উপায় হলো এটির নাক আছে মাঝামাঝি স্থানে। এটির মিষ্টতা কম, অনেকে বলে ডায়বেটিস আম। পাকলে এটির সুন্দর একটি হলুদ রং আসে। সাধারণত জুন মাসের শুরুর দিকে এটি বাজারে আসে।

রুপালী আম বা আম্রপালি বাজারের সেরা আম। এই নিচের দিকে একটু সুঁচালো উপরে একটু গোল। এই আমরা মিষ্টি বেশি, স্বাদে অন্যরকম।

বাংলাদেশে এমন মানুষ নাই যে ল্যাংড়া আম পছন্দ করে না। ল্যাংড়া আম দেখতে কিছুটা গোলাকার এবং মসৃণ। নিচের দিকে এটির নাকটি দেখা যায়। এটি জুন মাসের মাঝামাঝি বাজারে আসে এবং এটির চামড়া খুবই পাতলা।

বারি আম- ৪ আশ্বিনার সাথে বিদেশি একটি আমের সংকরায়নে এই উদ্ভাবন হয়েছে। এই চেনার উপায় হলো এর সুন্দর একটি রং আসে। আর জুলাই মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে এটি বাজারে আসে।

পরিপক্ক আম চেনার উপায় : পাকা আমের বৈশিষ্ট্য হলো এগুলো দেখতে একটু হলিদাভ হয়। আর পানিতে দিলে এগুলো ডুবে যায় যদি আম পরিপক্ক হয়।

স্বাস্থ্যকর আম খাওয়ার উপায় : এটা যদি একটু মাথায় রাখা যায় কোন সময়ে কোন আম পাকবে সে সময়ে সে আম খাবো। তাহলে অসাধুরা অসময়ে আম এনে খাওয়াতে পারবে না।

আরএম-০৭/৩০/০৫ (লাইফস্টাইল ডেস্ক)