ফুরফুরে মেজাজ আর সুস্বাস্থ্য দেবে এই আট গাছ

ফুরফুরে মেজাজ

বিশুদ্ধ বাতাস পেতে বাড়িতে আমরা অনেকেই গাছপালা রাখি। ঘর সাজাতেও আদর্শ পছন্দ টবে লাগানো গাছ। কিন্তু এমন অনেক গাছ আছে যা বাড়ি বা অফিসে ক্ষতিকর অবস্থা দূর করতে সাহায্য করে। একইসঙ্গে কাজ করে শারীরিক ও মানসিক উদ্যমতা তৈরিতে।

নিচে এমন আট উপকারী গাছ প্রসঙ্গে তুলে ধরা হলো:

১। পিস লিলি

ঘরে এই গাছ রাখলে আপনার আধ্যাত্মিক, মানসিক আর শারীরিক সমৃদ্ধি হয়। এ ছাড়া এই গাছ ঘরের মধ্যে বিষাক্ত গ্যাস নির্মূল করতেও সাহায্য করে । এই গাছের খুব একটা যত্ন-আত্তিরও দরকার নেই। মাঝে মাঝে শুধু পানি দিলেই হবে। উপরন্তু এই গাছ সহজে মরেও না। শোবার ঘরে এই গাছ রাখলে ভালো ঘুম হয়।

২। জুঁই

জুঁই ফুল ইতিবাচক শক্তিকে আকর্ষণ করে। এই গাছ ঘরে রাখলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্ক আরো ভালো হয়। এ ছাড়া জুঁই ফুলের মিষ্টি গন্ধ মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে এবং ইতিবাচক অনুভূতি এনে দেয়। তবে মনে রাখতে হবে ঘরে এই গাছ রাখলে তা যেন দক্ষিণ দিকে রাখা হয়। আর বাগানে লাগাতে হবে উত্তর-পূর্ব বা উত্তর বা পূর্ব দিকে।

৩। রোজমেরি

আজকাল রান্নায় অনেকেই এই পাতা ব্যবহার করেন। কিন্তু অনেকেই জানেন না এই গাছ ঘরে রাখলে যেমন ক্ষতিকর বাতাস আর বিষাক্ত গ্যাসকে বিশুদ্ধ করে, তেমনি শারীরিক এবং মানসিক সমৃদ্ধিও বাড়ায়। এ ছাড়া রোজমেরির হাল্কা সুগন্ধ খারাপ মেজাজ ভালো করে, ফেটিগ কমায়, স্মরণশক্তি বৃদ্ধি করে এবং যাদের ইনসোমনিয়া আছে তাদের ঘুমিয়ে পড়তেও সাহায্য করে। এ ছাড়া এই গাছ মনকে শান্ত রাখে। তবে অন্ধকার জায়গায় এই গাছ রাখা যাবে না এবং খেয়াল রাখতে হবে খুব বেশি পানি দিলেও মরে যাবে এই গাছ।

৪। লাকি ব্যাম্বু

চীনে এ এই গাছ ঘরে রাখার রীতি বহু পুরনো। গাছটিকে সেদেশে সমৃদ্ধি আর সৌভাগ্যের প্রতীক মানা হয়। এটি আপনাকে এতে দেবে উদ্যমতা, জীবনী শক্তি আর শারীরিক কর্মক্ষমতা। এই গাছের খুব একটা যত্নও করতে হয় না। কেবল ঘরের অন্ধকারাছন্ন জায়গায় রাখতে হবে। একটি কাঁচের পাত্রে ডিস্টিলড ওয়াটার বা পিউরিফায়েড ওয়াটারের মধ্যে রেখে দিতে পারেন।

৫। মানি প্ল্যান্টস

লতানে এই গাছটি সিলভার ভাইন নামেও পরিচিত। এই গাছ ইতিবাচক শক্তিকে আকর্ষণ করে এবং সৌভাগ্য বয়ে আনে। এ ছাড়া গাছটি ঘরের মধ্যে একটা চমৎকার পরিবেশও আনে। ঘরের কোণায় এই গাছ রাখুন মানসিক, চিন্তা আর নেতিবাচক চিন্তা তাড়ানোর জন্য।

৬। অর্কিড

অর্কিডও উদ্যমতাকে আকর্ষণ করে এবং স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের উন্নতি ঘটায়। অর্কিডের ফুল দীর্ঘজীবী হয় যা বিভিন্ন আকারের ও রঙের হয় এবং হাল্কা মৃদু সুগন্ধ থাকে যা খারাপ মুড সঙ্গে সঙ্গে ভালো করে দেয়। এ ছাড়া অর্কিড স্ট্রেস কমাতেও সাহায্য করে। অর্কিড রাতে অক্সিজেন ছাড়ে, তাই এটা শোবার ঘরে রাখলেও ভালো ঘুম হয়। তবে অর্কিডের বিশেষ যত্ন লাগে।

৭। অ্যালোভেরা

স্বাস্থ্য সুবিধাতো আছেই, এ ছাড়া এই গাছের পাতা সৌন্দর্য চর্চায়ও বহুল ব্যবহৃত হয়। এ ছাড়া এই গাছ ঘরের ভেতর থাকা মানুষকে আকর্ষিত করে। এ ছাড়া ঘরে এই গাছ রাখলে সৌভাগ্য ও সমৃদ্ধি আসে বলে অনেকের বিশ্বাস। এই গাছের কোনওরকম যত্নও দরকার হয় না। শুধু সরাসরি সূর্যকিরণ যাতে না পড়ে সেদিকে খেলাল রাখতে হবে। আর এই গাছের গোড়ায় পানি না জমতে দেওয়া যাবে না।

৮। সেজ

বাড়ির বাতাসকে বিশুদ্ধ রাখে এই এভারগ্রিন গাছ। এ ছাড়া এই গাছ রাগ এবং ক্ষোভ প্রশমনে সাহায্য করে। ঘরে পজিটিভ এনার্জি নিয়ে আসে এই গাছ। উপরন্ত এই গাছের হাল্কা বেগুনি ফুল মনকে শান্ত করে।

আরএম-০৮/১৬/০৬ (লাইফস্টাইল ডেস্ক)