যে বিষয়ে কোনোমতেই ছাড় নয় ‘সম্পর্কে’

যে বিষয়ে

মনোবিদদের মতে সম্পর্কে এমন কিছু বিষয় আছে যেটা মেনে নেওয়া উচিত নয়। এই বিষয়গুলোতে সমঝোতা করে নিলে একটা পর্যায়ে গিয়ে তা আর ভালো কিছু দেয় না। তাই যারা অসুস্থ সম্পর্কের টানাপোড়েনে নাজেহাল। তাদের জন্য সেই বিষয়গুলো তুলে ধরা হলো। যে বিষয়গুলো সহ্য করতে মানা করছেন মনোবিজ্ঞানীরা।

১. অসম্মানজনক ভাষা: একটা সুস্থ সম্পর্কের অন্যতম ভিত্তি হল একে অপরকে শ্রদ্ধা ও সম্মান। যে সম্পর্কে সম্মান নেই, সেই সম্পর্ক কোনও সম্পর্কই নয়। ‘একলা না-থাকার অভিনয়।’ সব সময় ব্যঙ্গ করা, নিচু করার চেষ্টা, অযথা অপমান করার প্রবণতা যদি সঙ্গী বা সঙ্গিনীর থাকে, তাহলে এই স্বভাব সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে বদলাতেইহবে। এটা অসহনীয়।

২. সবকিছুতে নিয়ন্ত্রণ: একটা সুস্থ সম্পর্কে স্বতঃস্ফূর্ততা খুব জরুরি। মনোবিদ অ্যান্দ্রেয়া বনিয়ো জানাচ্ছেন, নিয়ন্ত্রণ ভালো, কিন্তু সঙ্গী বা সঙ্গিনী যদি সব সময়ই সব কিছুতেই কন্ট্রোল করতে বলেন, তাহলে বিষয়টি বিরক্তিকর হয়ে যায়। তখন সঙ্গী বা সঙ্গিনীকে এড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতা তৈরি হয়। এরকম হলে, সহ্য না করাই ভালো।

৩. বিশ্বাসভঙ্গ: বিশ্বাস এমন একটি বস্তু, যা একবার ভঙ্গ হলে জোড়া খুব মুশকিল। সম্পর্কের মূল ভিত্তিও বিশ্বাস। তাই সম্পর্কে একে অপরের প্রতি বিশ্বাস রাখা ও বিশ্বাসকে যত্নে লালন করা খুবই জরুরি। যদি দেখেন, সঙ্গী বা সঙ্গিনী বার বার বিশ্বাসে আঘাত হানছে, তাহলে আর সময় নষ্ট করা উচিত নয় বলেই জানাচ্ছেন মনোবিদরা।

৪. যত্নশীল: একে অপরের প্রতি যত্ন নেওয়া, একে অপরের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করা সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার অন্যতম। যদি দেখান, সঙ্গী বা সঙ্গিনী আপনাকে নিয়ে একেবারেই ভাবিত নয়, সব সময় নিজেরটা ভাবেন, তাহলে সহ্য করা ঠিক নয়। কারণ, যত সহ্য করবেন, তত কষ্ট হবে।

৫. অবহেলা করা: সঙ্গী বা সঙ্গিনীকে সব সময় আগে গুরুত্ব দেওয়া দরকার। মনোবিদরা বলছেন, সঙ্গী বা সঙ্গিনীকে অবহেলা করা, বিশেষ গুরুত্ব না দেওয়া– এই সবই কিন্তু সম্পর্ককে বিষ করে তোলে। অতএব এ সব সহ্য করে একটা সম্পর্ককে টিকিয়ে রাখা মানে, নিজেকেই কষ্ট দেওয়া।

৬. নেতিবাচক: নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি স্বাস্থ্যকর জীবনের জন্য ক্ষতিকর, তেমনই ক্ষতিকর সম্পর্কেও। ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্ককে মজবুত করে। তাই দিনের পর দিন নেতিবাচক মনোভাব সহ্য করা ঠিক নয়।

৭. আবেগের অভাব: আবেগ ছাড়া বেগ থাকে না। জীবন থেমে যায়। তাই আবেগকে উপেক্ষা করা ঠিক নয়। বেশি আবেগপ্রবণ ঠিক নয়, আবার আবেগহীন হওয়াও ঠিক নয়। সম্পর্কে খুব জরুরি। একে অপরের প্রতি মনের কথাকে সম্মান করা, আবেগের সঙ্গে আলোচনা করা দরকার। আবেগহীন সম্পর্ক না রাখাই ভালো।

৮. ভালো শ্রোতা: ভালো শ্রোতা হওয়া খুব জরুরি। সঙ্গী বা সঙ্গিনীর কথা মন দিয়ে না শুনলে, তা তাঁকে অবহেলা করারই সামিল।

৯. আপনার স্বপ্নকে সমর্থন করেন না: আপনার স্বপ্ন, ইচ্ছে, উদ্দেশ্যকে সব সময়ই আপনার সঙ্গী বা সঙ্গিনীকে ১৫০ শতাংশ সমর্থন করতে হবে। যদি দেখেন, আপনার উন্নতিতে আপনার সঙ্গী বা সঙ্গিনী যদি ঈর্ষান্বীত হয়ে পড়েন, তাহলে বুঝবেন, সম্পর্কটাই তিক্ত। এতদিন সবই ছিল স্রেফ অভিনয়।

১০. দ্বায়িত্বজ্ঞানহীন: দায়িত্ব নিলে, তা পালন করাটাই কর্তব্য। দায়িত্বজ্ঞানহীনতা সহ্য করা কোনও সম্পর্কেই ঠিক নয়।

আরএম-১১/১০/১১ (লাইফস্টাইল ডেস্ক)