দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া রুখতে জাদুকরী টিপস

দ্রুত বুড়িয়ে

কম বেশি আমরা সবাই ত্বকের পরিচর্যা করে থাকি। কিন্তু অনেক সময় সঠিক উপায়ে রূপচর্চা না করার ফলে বুড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। তাই দ্রুত বুড়িয়ে যেতে না চাইলে রূপচর্চায় অবশ্যই সতর্ক হতে হবে।

একেক জনের ত্বক একেক রকমের হয়ে থাকে। তাই ত্বক বুঝেই সঠিক যত্ন নিতে হবে। তবেই ত্বকে বয়সের ছাপ দূর করা সম্ভব। তাছাড়া চিরসবুজ থাকতে হলে শুধু ত্বকই নয়, সঙ্গে বাকি দিক গুলাও নজরে রাখা উচিত। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক রূপচর্চার সহজ ও সঠিক পদ্ধতি-

> ত্বকের রং আরো ফর্সা করার জন্য টক দই লাগান মুখে। যাদের ত্বক শুষ্ক তারা মধু ও দই মিশিয়ে নিন। মিনিট বিশেক রাখুন মুখে, তারপরে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত তিন দিন এরকম লাগাতে হবে।

> প্রাণখোলা হাসি শারীরিক চাপ এবং স্ট্রেস মুক্ত হতে সাহায্য করে। একটি ভালো হাসির পরে ৪০ মিনিট পর্যন্ত শরীরের পেশী শিথিল থাকে।

> কাঁচা দুধে তুলা ভিজিয়ে কয়েকদিন ঠোটে ঘষুন ,কালো দাগ উঠে যাবে।

> রসুন, পিয়াজ, আমলকী আর নারকেল তেল একসঙ্গে মিশিয়ে হাল্কা গরম করে মাথায় দিয়ে ‘শ্যাম্পু’ করুন। এটি চুল বৃদ্ধি করবে আর চুল পরা বন্ধ করবে।

> একটি হট ওয়াটার ব্যাগে গরম পানি ভরে আপনার কপালে ও ঘাড়ে লাগান। এর ফলে ওই স্থানের মাসেলগুলো রিলেক্স হবে এবং মাথা ব্যথা ও টেনশন কমবে।

> কয়েকটি পেয়ারা পাতা নিন। তারপর এক গ্লাস পানি দিয়ে সেদ্ধ করুন। এবার ওই পানি দিয়ে কুলকুচি করুন। দাঁত ব্যথা কমে যাবে।

> তরমুজের বীচি বেটে ত্বকে লাগালে ত্বক ভালো থাকে। এছাড়া ত্বকে সরাসরি তরমুজের বীচির তেল লাগালে ব্রণের সমস্যা দূর হয়ে যায়।

> খালি পেটে ফলের রস পান করা, কিংবা ফল খাওয়া ডায়াবেটিস রোধে খুবই কার্যকর। তবে দেখা গেছে, স্বাদে তিতা ফলের রস খেলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে করোল্লা বা উচ্ছা জাতীয় খাবার সাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী। এগুলো জুস বা ভাঁজি করে খাওয়া যেতে পারে। এজন্য অবশ্য আপনার নিয়মিত খাবারের তালিকা পরিবর্তনের দরকার হবে না।

> ঘাড়, গলায় ও মুখে পাউডার লাগানোর সময় হালকা ভেজা স্পঞ্জ ব্যবহার করুন। কমপ্যাক্ট পাউডার সহজে সেট করবে এবং বেশিক্ষণ মেকআপটিকে থাকবে।

> নিয়মিত সাইকেল চালালে ওজন কমে। সাইকেল চালালে ক্যালোরি খরচ বৃদ্ধি পায় এবং মেটাবলিজম বা বিপাকের হার বৃদ্ধি করে, যার ফলে ওজন কমতে সাহায্য করে।

> নেইল পলিশ ব্যবহারের আগে স্বচ্ছ নেল পলিশ লাগান। এতে নখ হলুদ হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।

> গরম পানি শরীরের বিপাক ক্রিয়া খুব ভালোভাবে সম্পন্ন করে। যার ফলে বাড়তি মেদ কমবে। তবে আরো বেশি কাজ দিবে যদি সকালে খালি পেটে গরম পানির সঙ্গে লেবু মিশ্রিত করে পান করেন। এটা বডি ফ্যাট ভাঙতে সাহায্য করবে।

> চুল বড় হোক কিংবা ছোট, খুশকি থেকে বাঁচতে চাইলে তা কখনোই ভেজা অবস্থায় আঁচড়ানো যাবে না।

> টুথপেস্ট আর লবণ মিশিয়ে নাকে লাগিয়ে রাখুন ১০ মিনিট। তারপর ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন নাকে কোনো ব্ল্যাকহেডস এবং হোয়াইটহেডস নেই।

> যদি মুখে কালো দাগ হয়ে যায় তাহলে শশা, পেঁপে আর টমেটোর রস সম পরিমাণে মিশিয়ে মুখে লাগান। এই মিশ্রণটি যখন শুকিয়ে যাবে তখন দ্বিতীয় বার আবার এই মিশ্রণটি লাগান। এইভাবে তিন-চার বার ব্যবহার করুণ। ২০ মিনিট লাগিয়ে রাখার পরে মুখটা ভালো করে উষ্ণ জল দিয়ে ধুয়ে নিন।

> মধু ও দুধ একসঙ্গে মিলিয়ে ব্যবহারে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে।

> রোদে পোড়া দাগ দূর করতে চিনি ও লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে ত্বকে ম্যাসেজ করুন। একটি লেবুর অর্ধেকটা রস করে গোসলের পানিতে মিশিয়ে নিলে তা ত্বক ও হাত সুন্দর নরম করবে। হাতের নখে হলুদ দাগ থাকলে তার ওপর তাজা লেবুর রস কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখলে, সেই দাগও একেবারে উঠে যাবে এবং নখও শক্ত হবে।

> কয়েক ফোটা বাদাম বা নারকেল তেল হাতে নিয়ে আস্তে আস্তে চুলের আগায় লাগিয়ে নিন। এতে চুলের আগা ফাটা বন্ধ হয়ে চুলকে করবে মসৃণ, সুন্দর।

> তক সুস্থ রাখতে রাতে শোবার আগে ভালোভাবে মুখ ধুয়ে নিন। মুখে মেকআপ থাকলে ভালোভাবে তুলে ফেলতে হবে।

> শুষ্ক তকের জন্য ৩-৪ চামচ গরম দুধের মধ্যে ১ চামচ মধু আর লেবুর রস মিশিয়ে ভাল করে ফেটিয়ে নিন। এই প্যাকটা ময়শ্চারাইজারের কাজ করবে। এই প্যাকটা ব্যবহার করলে ত্বকের উজ্বলতা বাড়বে।

> আমলকীর তৈরি তেল চুলের জন্য অনেক বেশি উপকারী। এটি নিয়মিত ব্যবহারের ফলে চুল পরা কমে, চুলের বাদামী ভাব দূর হয়, চুল দ্রুত বড় হয়, খুশকি মুক্ত থাকে, চুল ঘন হয়।

আরএম-১৫/১৩/১১ (লাইফস্টাইল ডেস্ক)