জীবনসঙ্গীকে বেছে নেওয়ার আধুনিক রীতি

জীবনসঙ্গীকে

আজ থেকে ৫০ বছর আগেও ভারতীয় উপমহাদেশের নারীদের জীবনটা একটি গণ্ডিতে সীমাবদ্ধ ছিলো। তারা বাড়ির কাজ শিখতে শিখতে বড় হতেন এবং বিয়ে করে সংসার সামলাতেন। বাবা-মায়ের পছন্দমতো জীবনসঙ্গীকে বেছে নেওয়াই ছিলো নিয়ম। কিন্তু আধুনিক যুগে সবকিছু বদলে গেছে।

বিয়ের জন্য ঘটকের কাজ করে কিছু অনলাইন প্রতিষ্ঠান। তাদের ওয়েসসাইটে পাত্র কেমন মেয়ে চান শুধু তাই দেওয়া থাকে না। এখন এর সঙ্গে কোনো পাত্রীর পছন্দের পাত্রের বয়ানও দেওয়া থাকে। মেয়েরা বয়সের ব্যবধান, উপার্জন, উচ্চতা, চেহারা সবকিছু নিজের পছন্দমতো বেছে নিতে পারছেন।

অনলাইনে হাইলি কাস্টমাইজড সার্চের মাধ্যমে পাত্র-পাত্রীর এবং তাদের আত্মীয়-স্বজনের মধ্যে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়। এমনকি আগে মেয়েরা ছেলেটির সঙ্গে দেখা করেন। তিনি যদি পছন্দ করেন তবে পরিবার এগোবে। পছন্দের এই পদ্ধতিকে পুরোপুরি স্বীকৃতি দিয়েছেন অভিভাবকরা। বর্তমানে এই পদ্ধতিতে বিয়ে করতে ইচ্ছুক নারীদের সংখ্যা পঞ্চাশ বা ষাটের দশকের চেয়ে ১০ গুণ বেড়েছে। সাক্ষাতের পর ছেলেটির কিছু একটা পছন্দ না হলে তারা স্পষ্টভাবে নিজের মতামত জানিয়ে দিচ্ছেন।

এর মাধ্যমে নারীরা তার নিজস্ব জীবনযাপনে পূর্ণ স্বাধীনতা পাচ্ছেন। এর মাধ্যমে তার নিজস্ব চাহিদা ও রুচির প্রকাশ ঘটছে। এর মাধ্যমে নারীর জীবন থেকে পছন্দের মানুষটিকে না পাওয়ার আশঙ্কা দূর হচ্ছে। এর মাধ্যমে আধুনিক নারীরা জীবনটাকে উপভোগ্য করে তুলতে পারছেন।

ইতিমধ্যে ধর্মীয় এবং সামাজিক রীতি-নীতির ধরন পাল্টে যাচ্ছে। ছেলেদের সঙ্গে সঙ্গে মেয়েদেরও সুযোগ ও সুবিধা নিশ্চিত করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে আধুনিক নারীরাও এখন হয়ে উঠছেন স্বাধীন এবং নিজের মত তুলে ধরতে পারছেন দ্বিধাহীনভাবে।

আরএম-০৫/০৭/১২ (লাইফস্টাইল ডেস্ক)