আইন অনুযায়ী স্ত্রী যেসব কারণে আদালতে তালাক চাইতে পারেন

আইন অনুযায়ী

বিয়ে পবিত্র বন্ধন। যেখানে থাকে অনাবিল সুখ শান্তি আর অনেক অনেক স্বপ্ন। তবে সবার ক্ষেত্রেই যে তা হবে সেইটা ভাবা ভুল। অনেক বিবাহিত সম্পর্কই সুখের মুখ দেখে না। দুজনের মধ্যে অশান্তি দিন দিন বেড়েই চলে। এক পর্যায়ে যা ভেঙ্গে দেয়াই উত্তম বলে মনে হয়। তবে স্বামীকেই যে শুধু স্ত্রীকে তালাক দেয়ার বিধান আছে তা কিন্তু নয়। আইন অনুযায়ী কিছু কারণে স্ত্রীও পারবে স্বামীকে তালাক দিতে। তবে এর জন্য অবশ্যই জানা প্রয়োজন সেই আইনগুলো সম্পর্কে।

চলুন জেনে নেয়া যাক সেই তথ্যগুলো-

> চার বছর পর্যন্ত স্বামী নিরুদ্দেশ থাকলে।

> দুই বছর স্বামী তার স্ত্রীর ভরণপোষণ দিতে ব্যর্থ হলে।

> স্বামীর সাত বছর কিংবা তার চেয়ে বেশি কারাদণ্ড হলে।

> স্বামী কোনো যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়া তিন বছর যাবত দাম্পত্য দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে।

> বিয়ের সময় পুরষত্বহীন থাকলে এবং তা মামলা দায়ের করা পর্যন্ত বজায় থাকলে।

> স্বামী দুই বছর ধরে অপ্রকৃতিস্থ বা পাগল থাকলে অথবা কুষ্ঠরোগে বা মারাত্মক যৌন ব্যধিতে আক্রান্ত থাকলে।

> বিয়ে অস্বীকার করলে। অর্থাৎ যদি কোনো মেয়ের বাবা বা অভিভাবক মেয়েকে ১৮ বছর বয়স হওয়ার আগে বিয়ে দেন। সেই মেয়েটি ১৯ বছর হওয়ার আগে বিয়ে অস্বীকার করে বিয়ে ভেঙে দিতে পারে। তবে শর্ত হলো, মেয়েটির সঙ্গে স্বামীর দাম্পত্য সম্পর্ক (সহবাস) যদি স্থাপিত না হয়ে থাকে, তখনই কেবল বিয়ে অস্বীকার করে আদালতে বিচ্ছেদের ডিক্রি চাওয়া যাবে।

> স্বামী একাধিক স্ত্রী গ্রহণ করলে। অর্থাৎ স্বামী ১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক আইনের বিধান লঙ্ঘন করে একাধিক স্ত্রী গ্রহণ করলে।

> স্বামীর নিষ্ঠুরতার কারণে।

নিম্নলিখিত আচরণগুলো ‘নিষ্ঠুরতা’ হিসেবে গণ্য হবে-

১. অভ্যাসগত আচরণে স্ত্রীকে আঘাত করা (দৈহিক আঘাত ছাড়াও মানসিক আঘাতও এর অন্তর্ভুক্ত, যা তার জীবন শোচনীয় বা দুর্বিষহ করে তুলেছে)।

২. অন্য কোনো খারাপ নারীর সঙ্গে জীবনযাপন বা মেলামেশা করলে।

৩. স্ত্রীকে অনৈতিক জীবনযাপনে বাধ্য করা।

৪. স্ত্রীর সম্পত্তি নষ্ট করা।

৫. স্ত্রীকে নিজস্ব ধর্মপালনে বাধা দেয়া।

৬. যদি স্বামীর একাধিক স্ত্রী থাকে এবং তাদের সঙ্গে সমান ব্যবহার না করা।

৭. এছাড়া মুসলিম আইনে বিয়েবিচ্ছেদের জন্য বৈধ বলে স্বীকৃত অন্য যে কোনো কারণে স্ত্রী পারিবারিক আদালতে বিয়েবিচ্ছেদের দাবি করতে পারবে।

আরএম-২২/২১/০১ (লাইফস্টাইল ডেস্ক, তথ্যসূত্র: বিবিসি বাংলা)