কাটা স্থানের রক্ত পড়া বন্ধ ও পুরাতন গহনা ঝকঝকে করে ডিম

কাটা স্থানের

ডিমের হাজিরা নেই, বাঙালির এমন আমিষ হেঁশেল খুঁজে পাওয়াবড় দুষ্কর! কেবল পুষ্টিই নয়, বরং সস্তায় পুষ্টি মেলে বলেই দরিদ্র ঘরেও ডিমের চাহিদা রয়েছে।

শরীরের প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে আমরা ডিম খেয়ে থাকি। পিঠা-পুডিং সহ নানা রকম খাবারেও ডিম ব্যবহার হয়ে আসছে। শুধু খাদ্য হিসেবেই নয়, রূপচর্চায়ও ব্যবহার করা হয় ডিম। এছাড়াও বিভিন্ন ব্যবহারিক কাজে ডিম বেশ কাজ করে।

ডিম দিয়েই আপনি সারিয়ে ফেলতে পারেন কাটাছেঁড়ার দাগ কিংবা ঝকঝকে করে ফেলতে পারেন আপনার অলংকার।

এবার জেনে নিন ডিমের নানা রকম ব্যবহারিক কার্যকারিতা :

কন্ডিশনার :

হঠাৎ কন্ডিশনার ফুরিয়ে গেছে? চিন্তার কারণ নেই। অলিভ অয়েল আর ডিমের কুসুম একসঙ্গে মিশিয়ে শ্যাম্পুর পর লাগিয়ে রাখুন চুলে। বাজারের কন্ডিশনারের চেয়ে এই ঘরোয়া ব্যবহারে চুল ভাল হবে।

গাছের উপকারী :

ডিম সিদ্ধর পর সেই পানি ও ডিমের খোসা গুঁড়িয়ে গাছের গোড়ায় দিন। ডিমের খোসা গাছের শরীরে ক্যালশিয়ামের যোগান বাড়াতে খুব কার্যকর। গাছকে নানা পতঙ্গের হাত থেকেও বাঁচায় ডিমের খোসা। আপনার বাসার টবে যে গাছ রয়েছে তাতে আজই দিয়ে দেখুন।

গয়না পরিষ্কার :

রুপোর গয়না দিন কয়েক পরলেই কালো হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে। বাতাসের অক্সিজেনের প্রভাবেই এমনটা হয়। ডিম এই গয়নাগুলোকে পরিষ্কার করে ঝকঝকে করে দিতে পারে সহজেই। ডিম অনেক ক্ষণ ধরে সেদ্ধ করে নিন। এরপর খোসা ছাড়িয়ে দু’ভাগ করে কুসুম ছাড়িয়ে নিতে হবে। এবার এই কুসুম একটি ঢাকনাযুক্ত পাত্রে রেখে হাত দিয়ে ঝুরঝুরো করে গুঁড়া করে ফেলুন। এবার তাতে হালকা কোনও পেপার বা তোয়ালে বিছিয়ে তার উপর রাখুন রুপোর গয়নাগুলো। পাত্রের মুখের চার পাশে ময়দার প্রলেপ দিয়ে বন্ধ করে দিন। দু’দিন পর সেই গয়নাগুলো বার করলেই দেখবেন, কালো ভাব একেবারে উধাও। ডি-অক্সিডাইজার হিসেবে ডিমের এই ব্যবহার নানা জুয়েলারিতেও করা হয়।

রক্ত বন্ধ করে :

বনভোজনে গিয়ে বা বাড়ির মধ্যেই কোনও দুর্ঘটনাবশত কেটে গেলে দেখা যায় অনেক সময় রক্ত বন্ধ হতে চায় না। এ সময় ডিম কাজে লাগাতে পারেন। সিদ্ধ ডিমের খোসা ও সাদা অংশের মাঝে যা পাতলা আবরণ থাকে তা ছাড়িয়ে নিন। সেই পাতলা আবরণ ক্ষতস্থানে চেপে ধরে থাকলেই রক্ত বন্ধ হবে খুব দ্রুত। এমনকি দ্রুত ক্ষতের দাগ মেলাতেও এটি বেশ কার্যকর।

আরএম-০৬/১৩/০২ (লাইফস্টাইল ডেস্ক)