যেসব ভুলে হতে পারে ক্যান্সার

যেসব ভুলে

প্রাণঘাতী রোগ ক্যান্সারের নাম শুনলেই ভয় পায় সবাই। কারণ জটিল এই রোগের চিকিৎসা যেমন ব্যয়বহুল, তেমনি এই রোগে বেশিরভাগ মানুষ মারা যায়।

তবে আপনি জানেন কী? এমন কিছু ক্যান্সার আছে যা অবাধ যৌনাচারের ফলে হয়ে থাকে। তবে অসুরক্ষিত ও একাধিক যৌন সম্পর্ক থেকে বিরত থাকলে ক্যান্সার থেকে বাঁচা যায়। আর কিছু নিয়ম অবশ্যই মেনে চলতে হবে।

ক্যান্সার হলে চেহারা খারাপ হওয়া, চুল পড়ে, ত্বকের রুক্ষতা ও কোনো অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

এ সময় হীনমন্যতা জাগে রোগীর মনে। অনেক সময় দেখা দেয় অবসাদ। আক্রান্ত মানুষটি নিজেকে গুটিয়ে নেন। আর দূরে সরে যান। সঙ্গী সাপোর্টিভ না হলে বা তার মনেও যদি অনীহা থাকে, সে ক্ষেত্রে দূরত্ব বাড়ে।

অনেকে মনে করেন ক্যান্সার ছোঁয়াচে। বিশেষ করে যৌনাঙ্গে ক্যান্সার নিয়ে এ ধারণা অনেকের রয়েছে। এ জন্য শুধু বিছানা নয়, ঘরও আলাদা হয়ে যায়।

নিয়মিত কেমোথেরাপি হলেও শরীরে এত রকম কষ্ট থাকে যে শারীরিক ইচ্ছেটাই কমে যায়। সহবাসও হয় কষ্টকর। আর মৃত্যুভয় তাড়া করে বেড়ায় এতই যে গোটা পরিবার রোগমুক্তির বাইরে আর কিছুই প্রায় ভাবতে পারে না।

কী করবেন?

১. প্রাথমিক অবস্থায় ক্যান্সার ধরা পড়লে আধুনিক চিকিৎসায় অনেক সময়ে ভালো হয়ে যায়। কেমোথেরাপি হওয়ার ছয় মাস থেকে এক বছরের মধ্যে শারীরিক ইচ্ছে ও ক্ষমতা ফিরে আসে অধিকাংশ ক্ষেত্রে।

২. যে কোনো সমস্যায় চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন। ভয় পাবেন না।

৩. মানসিক অবসাদ থাকলে মনোচিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খেলে খেতে পারেন।

৪. গণশৌচাগার করবেন না। গণশৌচাগার থেকে হতে পারে ক্যান্সার।

৫. ওরাল সেক্সের অভ্যাস থাকলেও সচেতন হতে হবে। কারণ সঙ্গীর যৌনাঙ্গে বিশেষ ধরনের হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস থাকলে তা থেকে ওরো–ফ্যারিঞ্জিয়াল ক্যান্সার হতে পারে।

৬. হিউমান প্যাপিলোমা ভাইরাসের আক্রমণে জরায়ুমুখ ক্যান্সার হওয়া ঠেকাতে সহবাসের সময় কনডম ব্যবহার করতে হবে।

৭. একাধিক যৌন সম্পর্ক থাকলে ও কনডম ব্যবহার না করলে যৌন ক্যান্সার হতে পারে।

৮. একাধিকবার গর্ভপাত করালে, ঘন ঘন পিরিয়ড পিছিয়ে দেয়ার ওষুধ খেলে বা পৌরুষ ধরে রাখার ওষুধ খেলে ও ব্যবহার করলে ক্যান্সারের আশঙ্কা বাড়ে।

আরএম-১৭/২৬/০২ (লাইফস্টাইল ডেস্ক)