মেছতা হলে কী করবেন
অনেকেই মুখে, গালে মেছতার কালো দাগ নিয়ে বিব্রত বোধ করেন। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মেছতার কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না। তবে সূর্যের আলোর প্রভাব, বংশগত কারণ, গর্ভধারণ, জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি, ডিম্বাশয়ের সমস্যা, হরমোনজনিত সমস্যা, যকৃতের সমস্যা, অপুষ্টি ও কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মেছতার জন্য দায়ী হতে পারে।
মেছতা কোনো গুরুতর সমস্যা নয়। যাদের ত্বকের ওপরের স্তরে মেছতার সমস্যা, তাদের সমস্যা সম্পূর্ণ ভালো হয়ে যায়। যাদের ক্ষেত্রে এ সমস্যা ত্বকের ভেতরের দিকের স্তরে, তাদের ক্ষেত্রে চিকিৎসায় খুব একটা ফল পাওয়া যায় না। তবে সাময়িক ভালো থাকা যায়। উন্নত চিকিৎসায় এরও সমাধান সম্ভব, তবে তা ব্যয়সাপেক্ষ। আবার যাদের মেছতার ধরন মিশ্র, ত্বকের ওপর ও ভেতর উভয় স্তরে রয়েছে, তাদেরও অবশ্য চিকিৎসায় উন্নতির আশা থাকে।
মেছতা হলে কী করবেন
• মেছতার কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া গেলে তার সমাধান করতে হবে। যেমন ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হলে সে ওষুধ বন্ধ করা যায় কি না, তা নিয়ে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করতে হবে। হরমোনজনিত সমস্যার চিকিৎসা করতে হবে।
• সরাসরি সূর্যের আলোর প্রভাব থেকে ত্বককে মুক্ত রাখতে হবে। রোদে গেলে ত্বক ঢেকে রাখতে হবে।
• গর্ভকালীন অবস্থায় মেছতার চিকিৎসা নেওয়ার দরকার নেই। সন্তান প্রসবের পর ছয় মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
• চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে কিছু ক্রিম (যেমন হাইড্রোকুইনন) ব্যবহার করা যায়।
• মেছতার চিকিৎসা সময়সাপেক্ষ। তাই তাড়াহুড়া না করে ধৈর্য ধরে চিকিৎসা নিন।
বর্তমানে মেছতার দাগ ওঠানোর কিছু আধুনিক চিকিৎসাও এসেছে।
তবে মনে রাখবেন, এ ধরনের চিকিৎসা চিরদিনের জন্য মেছতা সেরে যাওয়ার নিশ্চয়তা দিতে পারে না।
আরএম-২০/২৭/০২ (লাইফস্টাইল ডেস্ক)