করোনা রুখতে ফেস মাস্ক নাকি ফেস শিল্ড কোনটি বেশি কার্যকরী?

দীর্ঘ লকডাউন শেষে অনেকে এখন ঘরের বাইরে পা রাখছেন খেয়াল খুশি মতো। জীবন হাতের মুঠোয় নিয়ে অনেকে আবার অফিস করছেন। সেই সঙ্গে নিত্যপণ্যের জন্য তো বাইরে সবারই কম বেশি বের হতেই হচ্ছে। এই করোনাকালে বাইরের পরিবেশ সবার জন্যই বিপজ্জনক।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে বারবার বলা হয়েছে, ব্যক্তিগত সুরক্ষা বজায় রাখতে ফেস মাস্ক পরা সবার জন্যই বাধ্যতামূলক। তবে বর্তমানে অনেকেই মাস্কের পাশাপাশি ফেস শিল্ডও ব্যবহার করছেন। এর কারণ কি, কোনটি বেশি উপকারী? এই প্রশ্নের উত্তর অনেকেরই অজানা। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক এই দুটোর মধ্যকার পার্থক্য?

এই সময় ফেস শিল্ডের ব্যবহার বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। পিভিসি বা মোটা প্লাস্টিকের তৈরি এই শিল্ড হেলমেটের ফেস কভারের মতোই আপনার মুখের সামনেটা ঢেকে রাখবে। ডাক্তার বা নার্সরা হাসপাতালে অপারেশনের সময় অনেক ক্ষেত্রে মাস্কের উপর ফেস শিল্ড ব্যবহার করেন। তাতে রোগীর শরীর থেকে ছিটকে আসা যে কোনো তরলের সংস্পর্শ এড়ানো সম্ভব হয়।

তবে করোনাভাইরাস ঠেকাতে কতটা কার্যকরী এই ফেস শিল্ড? 

> এটি আপনার মুখের উপর একটা আবরণ হিসেবে থাকবে। এটি স্বচ্ছ হওয়ায় সবকিছুই পরিষ্কার দেখা যাবে।

> অনেকের মাস্ক পরে শ্বাস নিতে কষ্ট হয় তারা এটি ব্যবহারে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবেন।

> যারা বেশি সুরক্ষা চান তারা মাস্ক পরেও আবার শিল্ড ব্যবহার করতে পারবেন।

> ফেস শিল্ড থাকলে মুখে, নাকে বা চোখে হাত দিতে পারবেন না একেবারেই। এতে সংক্রমণের আশঙ্কাও কমবে।

> এই সুরক্ষাকবচটি প্রতিদিন পরিষ্কার করে শুকিয়ে নিয়ে আবার ব্যবহার করতে পারবেন।

মনে রাখবেন, আপনি যদি গণপরিবহন বা ট্রেনে চড়েন, তবে মাস্ক আর ফেস শিল্ড দুটোই ব্যবহার করুন। বাজারে বা যে কোনো ভিড় জায়গায় গেলেও সেটাই করা উচিত। সেই সঙ্গে বার বার হাত ধোয়াসহ সামাজিক দুরত্ব বাজায় রাখুন। অপ্রয়োজনে বাড়ির বাইরে না যাওয়ার মতো বিষয়গুলোও মেনে চলতে হবে।

সূত্র: টাইমসঅবইন্ডিয়া