বিরক্তিকর নাকডাকা বন্ধের সাত অব্যর্থ উপায়

নাক ডাকা খুবই বিরক্তিকর একটি সমস্যা। যা আপনার পাশের মানুষটির রাতের আরামের ঘুম হারাম করে দিতে পারে। যারা নাক ডাকেন, অনেকেই তাদের সঙ্গে ঘুমাতেও রাজি হয় না। তাছাড়া নাক ডাকা একটি স্বাস্থ্য সমস্যাও।

চিকিৎসকেরা বলছেন, নাক ডাকা অন্য অনেক স্বাস্থ্যসমস্যার পাশাপাশি উচ্চ রক্তচাপ এমনকি স্ট্রোকের ঝুঁকির আগাম ইঙ্গিতও হতে পারে। তাই নিজের সুস্থতার কথা চিন্তা করে নাক ডাকার বিরক্তিকর অভ্যাসটি দূর করা উচিত। এতে আপনার পাশের আপন মানুষটির ঘুমেরও কোনো সমস্যা হবে না। চলুন জেনে নেয়া যাক নাক ডাকা বন্ধের সাতটি অব্যর্থ উপায়-

> বিশেষজ্ঞদের মতে, যারা চিৎ হয়ে ঘুমান তারা বেশি নাক ডাকেন। তাই নাক ডাকা বন্ধ করতে যে কোনো এক দিকে কাত হয়ে ঘুমানোর অভ্যাস করুন।

> আপেল-গাজরের জুস এবং হলুদের তৈরি চা নাক ডাকা সমস্যা সমাধানে দারুণ উপকারী। কারণ এগুলো মিউকাস দূর এবং শ্বাসনালী চওড়া করতে সহায়তা করে। ফলে নাক ডাকা সমস্যা দূর হয়।

> অনেক সময় অ্যালার্জির কারণে মানুষ নাক ডাকতে পারেন। তাই আপনার অ্যালার্জি আছে কিনা তা টেস্ট করিয়ে নিন। যেসব জিনিসে আপনার অ্যালার্জি রয়েছে তা এড়িয়ে চললেই নাক ডাকা বন্ধ হয়ে যাবে।

> ধূমপানের ফলেও নাক ডাকার সমস্যা হয়ে থাকে। সুতরাং পাশের মানুষটিকে কষ্ট দিতে না চাইলে ধূমপান বন্ধ করুন।

> একেক দিন একেক সময়ে ঘুমানো, কম ঘুম ইত্যাদির কারণেও মানুষ নাক ডাকেন। তাই একই সময়ে এবং পরিমিত ঘুমানোর চেষ্টা করুন।

> যাদের বেশি ওজন থাকে তারা নাক ডাকেন। কারণ গলার কাছের মেদ বাতাস চলাচলে বিঘ্ন ঘটায়। এতে করে নাক ডাকার সমস্যা শুরু হয়। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন।

> বিছানায় ধুলাবালি থাকলে শ্বাস প্রশ্বাসে সমস্যা হয়। এর ফলে নাকের নালিতে ধুলা সংক্রমিত হয়ে নাকের পেশি ফুলে উঠতে পারে। এ কারণে নাক ডাকার সমস্যা হতে পারে। তাই বিছানা ও ঘর ভালোভাবে পরিষ্কার রাখুন।