বর্ষাকালে চুলের যত্নে বিরত থাকুন এই ভুলগুলো থেকে

প্রতি ঋতুতেই চুল ও ত্বকের যত্নে পরিবর্তন আসে আবহাওয়ার পরিবর্তন থেকে। গ্রীষ্ম জুড়ে চুল যেমন থাকে,তার উপর নির্ভর করেই নির্ধারণ করা হয় চুলের যত্ন। একইভাবে সময়ের বদলে বর্ষাকালে বদলে যায় চুলের যত্ন। বর্ষাকালীন সময়ে চুলের যত্নে কী করা প্রয়োজন সেটা জানার আগে বিশেষভাবে জানতে হবে, এ ঋতুতে কোন কাজগুলো চুলের ক্ষতির কারণ।

বৃষ্টিতে ভেজা চুল না ধোয়া

আচমকা কিংবা শখের বশে বৃষ্টিতে ভেজা হলে পরবর্তীতে চুল কলের পানিতে ধুয়ে নিতে হবে। কারণ বৃষ্টির পানি চুল ও চুলের গোড়ার জন্য মোটেও ভালো নয়। কিন্তু এই ভুলটাই বেশি করা হয়। বৃষ্টিতে ভেজার পর চুল আর ধোয়া হয় না। এতে করে চুল শুষ্ক হয়ে যায় এবং খুশকির সমস্যা বৃদ্ধি পায়।

চুলে ঘনঘন শ্যাম্পু করা

বর্ষাকালে স্বাভাবিকভাবেই বাতাসে আর্দ্রতার মাত্রা বেশি থাকে। ফলে চুল আঠালো ভাব চলে আসে। এ কারণে অনেকেই প্রতিদিন শ্যাম্পু করার অভ্যাস রপ্ত করেন। এতে করে চুলের উপকারের পরিবর্তে ক্ষতিই হয় বেশি। বাতাসের আর্দ্রতাজনিত কারণে চুলে আঠালোভাব দেখা দিলেও অন্তত দুই দিন পরপর শ্যাম্পু করতে হবে।

হিট স্টাইলিং পণ্যের ব্যবহার

খেয়াল করে দেখবেন, বর্ষাকালে তুলনামূলকভাবে চুলে অনেক বেশি উসকোখুসকো হয়ে থাকে। এতে করে সহজেই চুল ভেঙে যাওয়া ও ছিঁড়ে যাওয়ার সমস্যা দেখা দেয়। এ সময়ে যেকোন ধরণের হিট স্টাইলিং পণ্যের (কার্লিং মেশিন, স্ট্রেইটনার) ব্যবহার চুলকে আরও নাজুক করে দেয়। এতে করে চুল ভেঙে যাওয়ার পাশাপাশি অতিরিক্ত চুল পড়ার সমস্যাটিও দেখা দেয়।

চুলের যত্নে ভিন্ন পণ্যের ব্যবহার

সময়ে সময়ে চুলের যত্নের জন্য ভিন্ন ভিন্ন পণ্য ব্যবহার করতে হয়। একটি নির্দিষ্ট পণ্য ব্যবহারের মাঝে সীমাবদ্ধ না থেকে হরেক পণ্যের ব্যবহারে বোঝা যায়, কোন পণ্যটি চুলের সাথে খাপ খাচ্ছে এবং কোন পণ্য ব্যবহারে চুল সর্বোচ্চ উপকার পাচ্ছে। কিন্তু বর্ষাকাল বিভিন্ন ধরণের পণ্য ব্যবহারের জন্য একেবারেই সঠিক সময় নয়। এ সময়ে চুল অনেক বেশি সমস্যার মুখোমুখি হয় বলে নির্দিষ্ট একটি ও এক ধরণের পণ্য ব্যবহারের মাঝেই থাকার চেষ্টা করতে হবে।

কন্ডিশনার ব্যবহার না করা

এই মৌসুমে চুলে সহজেই আঠালো ভাব দেখা দিলেও, প্রতিবার শ্যাম্পুর পর অবশ্যই কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে। কারণ বর্ষাকালে চুল বাতাসের জন্য উসকোখুসকো ও শুষ্ক হয়ে থাকে। যা সহজেই চুলে জট বাঁধতে ও চুল ভেঙে ফেলতে পারে। কন্ডিশনারের ব্যবহার চুলকে পুরো মৌসুম জুড়ে কোমল রাখতে কাজ করবে।