কমানো যাচ্ছে না উন্নয়ন কর্মসূচির ব্যয়!

খরচের লাগাম টেনেও উন্নয়ন কর্মসূচির ব্যয় কমানো যাচ্ছে না। কৃচ্ছতা সাধনের বছরেও আড়াই লাখ কোটি টাকার এডিপি বাস্তবায়ন করছে সরকার। কম গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প ‘এ’ ক্যাটাগরিতে আনতে তোড়জোড় করছে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়। ফলে চাপে পরিকল্পনা কমিশন।

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান জানালেন, সরকারি প্রকল্পের বাড়তি ব্যয় ছেঁটে ফেলা হচ্ছে। এরইমধ্যে কাটছাঁট হয়েছে ৬৩৬টি প্রকল্পের বরাদ্দ। কিন্তু অর্থনীতির পরিধি বাড়ায় কিছু খরচ না করেও চলছে না। এ অবস্থায় পুরোনো প্রকল্প আগে শেষ করার পরামর্শ গবেষকদের।

বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, টাকার হিসেবে গত ৪ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ এডিপি বাস্তবায়ন হয়েছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম ৩ মাসে সবচেয়ে এগিয়ে স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ। এরপরের অবস্থানে আইএমইডি ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। অন্যদিকে, জিওবি এর এক টাকাও খরচ করতে পারেনি পররাষ্ট্র ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

তাহলে আগামী দিনের বাড়তি চাহিদা কীভাবে মোকাবেলা করবে সরকার- এমন প্রশ্নের জবাবে এম এ মান্নান বলেন, প্রকল্প কাটছাঁট করতে হবে। ইতোমধ্যে সরকার ৩ ধরনের ক্যাটাগরি করেছে; অতি জরুরি, মাঝারি জরুরি, নিম্ন জরুরি। নতুন যত প্রকল্প আসবে, আমার এখানে তো যাছাইবাছাই হয়, আমাদের কর্তাব্যক্তি যারা করেন, তাদেরকে আরও গভীর মনোযোগ দিতে হবে।

আগেই চলমান প্রকল্পগুলোকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এর মধ্যে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে আছে ৬৪৬টি প্রকল্প। সেগুলোর বরাদ্দে হাত দেয়া হয়নি। বি ক্যাটাগরিতে আছে ৬৩৬টি, যার বরাদ্দের সরকারি অংশের ২৫ শতাংশ স্থগিত করা হয়। আর স্থগিত করে দেয়া হয় ‘সি’ ক্যাটাগরিতে থাকা ৯০টি প্রকল্প। সরকারের লক্ষ্য ছিল, এর সুবাদে সাশ্রয় হবে ৩০ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু এডিপির ব্যয় বেড়ে গেলে তা কী সম্ভব?

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সিনিয়র রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান বলেন, সরকারের গাড়ি কেনার মতো খাতে কিংবা বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে অর্থ ছাড় কিংবা ব্যয় না করতে বলছি আমরা। যেসব প্রকল্প শেষ হলে অর্থনীতি সুফল পাবে, সে জায়গায় আমরা বেশি মনোযোগ দিতে বলছি।

বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি সংশোধন করতে এরইমধ্যে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সুপারিশ চেয়েছে পরিকল্পনা কমিশন।

এসএইচ-১৪/১৩/২২ (অনলাইন ডেস্ক, সূত্র :যমুনা)