নির্বাচনে সুস্থ প্রতিযোগিতার পরিবেশ সৃষ্টি হয়নি: সুজন

অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পূর্বশর্ত হিসেবে সুস্থ প্রতিযোগিতার জন্য প্রয়োজনীয় অনুকূল পরিবেশ এখনও সৃষ্টি হয়নি বলে অভিযোগ করেছে বেসরকারি সংস্থা সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)।

সোমবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীদের তথ্য উপস্থাপন করা হয়।

একাদশ সংসদ নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপ হলেও সমঝোতা হয়নি মন্তব্য করে সংবাদ সম্মেলনে সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হচ্ছে বলেই আমাদের ধারণা। কিন্তু প্রচারণায় হামলা, বাধা ও হয়রানির কারণে এখনও নির্বিঘ্নে প্রচারণা চালাতে পারছেন না অনেক প্রার্থী।’

তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে ভোটারদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ থাকলেও সহিংসতার কারণে অবাধে তারা ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন কি-না তা নিয়ে সংশয় সৃষ্টি হয়েছে। শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের অনুষ্ঠানের জন্য অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি না হলে ভোটাররা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট কেন্দ্রে যাবেন কি-না সন্দেহ আছে।

এ প্রসঙ্গে সুজন সম্পাদক আরও বলেন, ভোটাররা যদি অবাধে ভোট কেন্দ্রে না যেতে পারেন তাহলে নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক বলা যাবে না। আর এমন নির্বাচনকে নিরপেক্ষ নির্বাচনও বলা যাবে না।

নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের বিভিন্ন তথ্য প্রকাশ করে তিনি বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মোট ১ হাজার ৮৭১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে নারী প্রার্থী আছে ৬৬ জন।

প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতার তথ্য উপস্থাপন করে বদিউল আলম মজুমদার জানান, প্রার্থীদের ৬৪ দশমিক ৮৭ শতাংশের শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক। স্বল্প শিক্ষিত বা এসএসসির পাস করতে পারেননি এমন প্রার্থী আছেন ৪২১ জন, যা মোট প্রার্থীর ২২ দশমিক ৮৫ শতাংশ। এছাড়া মাধ্যমিকের গণ্ডি পার হতে না পারা প্রার্থী আছেন ২৬৬ জন, যা মোট প্রার্থীর ১৪ দশমিক ৪৪ শতাংশ।

সুজন সম্পাদক আরও জানান, প্রার্থীদের মধ্যে ৯৬১ জনেরই পেশা ব্যবসা। অর্থাৎ মোট প্রার্থীর ৫২ দশমিক ১৭ শতাংশই ব্যবসায়ী। এছাড়া আইন পেশায় যুক্ত প্রার্থীর আছেন ৫৬ জন। প্রার্থীদের মধ্যে ১৩৬ জনের সম্পদের পরিমাণ কোটি টাকার ওপরে। ২২৩ জন বছরে ৫০ লাখ টাকার বেশি এবং ৯৫১ জন বছরে ৫ লাখ বা তার কম আয় করেন।

বিএ-০৮/২৪-১২ (ন্যাশনাল ডেস্ক, তথ্যসূত্র: সমকাল)