সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জার্মানি এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে তার ৬ দিনের সরকারি সফর শেষে বুধবার সকালে দেশে ফিরেছেন।

বাংলাদেশ বিমানের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট প্রধানমন্ত্রী এবং তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে সকাল ৬টা ২৫ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। খবর বাসসের

এর আগে আরব আমিরাতের স্থানীয় সময় রাত ১২টা ১৫ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় ২টা ১৫ মিনিট) বিমানটি প্রধানমন্ত্রী এবং তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে আবুধাবি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।

সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান প্রধানমন্ত্রীকে বিমানবন্দরে বিদায় জানান।

চতুর্থ বারের মতো এবং টানা তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর এই দু’টি রাষ্ট্রে সরকারি সফর ছিল নতুন মেয়াদে তার প্রথম কোন বিদেশ সফর।

সফরের প্রথম পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী ১৪-১৬ ফেব্রুয়ারি মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগদানের জন্য জার্মানি সফর করেন।

এবারের নিরাপত্তা সম্মেলনের ৫৫তম অধিবেশনের সাইড লাইনে প্রধানমন্ত্রী একটি স্বাস্থ্যসেবা সংক্রান্ত গোলটেবিল আলোচনায় ভাষণ দেন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট নিরাপত্তা ঝুঁকি সম্পর্কিত একটি প্যানেল আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।

ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্ট (আইসিসি)-এর প্রধান আইনজীবী ড. ফাতু বেনসৌডা এবং ইন্টারন্যাশনাল ক্যাম্পেইন টু অ্যাবলিশ নিউক্লিয়ার উইপন এর নির্বাহী পরিচালক নোবেল বিজয়ী ব্যাট্রিস ফিন পৃথকভাবে শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

জার্মানিতে বাংলাদেশ মিশনের উদ্যোগে স্থানীয় হোটেল শেরাটনে আয়োজিত জার্মানিতে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানেও যোগদান করেন তিনি।

সফরের দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী ১৭-১৯ ফেব্রুয়ারি আবুধাবির ন্যাশনাল এক্সিবিশন সেন্টারে সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্যোগে আয়োজিত আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা প্রদর্শনীর (আইডিইএক্স-২০১৯) উদ্বোধনী পর্বে যোগদান করেন।

১৮ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী আবুধাবির যুবরাজ শেখ মোহাম্মেদ বিন জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তিনি দুবাইয়ের শাসক এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মেদ বিন রশিদ আল মকতুমের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।

একই দিনে প্রধানমন্ত্রী দুবাইয়ের বাহার প্রাসাদে দুবাইয়ের স্থপতি প্রয়াত শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ানের স্ত্রী এবং দুবাই মাতা শেখ ফাতিমা বিনতে মুবারাক আল কেতবীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

বিএ-০৩/২০-০২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)