পুরান ঢাকার চকবাজারের চুড়িহাট্টায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ সোহাগ (২৫) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তাকে নিয়ে এই অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা ৬৯ জনে দাঁড়ালো।
সোমবার রাত দেড়টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোহাগের মৃত্যু হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বার্ন ইউনিটের সমন্বয়ক সামন্ত লাল সেন।
চিকিৎসকরা জানান, সোহাগের দেহের ৬০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।
সোহাগের বড় ভাই রুহুল আমিন জানান, ঘটনার রাতে কাজ শেষে বাসায় ফেরার পথে চুড়িহাট্টার আগুনে দগ্ধ হন সোহাগ। চকবাজারে একটি প্রসাধন সামগ্রীর গুদামে শ্রমিকের কাজ করতেন তিনি। তাদের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের ফুলপুর থানার মাহমুদপুর গ্রামে। ঢাকায় ঘাটারচর এলাকার একটি বাসায় ভাড়া থাকেন তারা।
এর আগে সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আনোয়ার হোসেন (৫৫) নামে এক রিকশাচালক।
বার্ন ইউনিটের আবাসিক সার্জন পার্থ শঙ্কর পাল জানান, আনোয়ারের শরীরের ২৮ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। তার শ্বাসনালি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।
আনোয়ারের ভাতিজা মো. শাহিন জানান, তার চাচা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কামরাঙ্গীরচরে থাকতেন। ওইদিন দুপুরের পর তিনি রিকশা চালাতে বের হন। রিকশা নিয়ে চুড়িহাট্টা মোড় দিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তায় আগুন ছড়িয়ে পড়লে তিনি দৌড়াতে থাকেন। ওই রাতে বাসায় না ফেরায় তারা হাসপাতালে পোড়া অবস্থায় খুঁজে পান তাকে।
আনোয়ার তিন ছেলে, এক মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে কামরাঙ্গীরচর এলাকায় ভাড়া থাকতেন। রাজবাড়ী জেলার সদর উপজেলার রায়নগর এলাকায় তার বাড়ি।
বিএ-০৭/২৬-০২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)