পূর্বঘোষণা অনুযায়ী পুরান ঢাকার আবাসিক ভবনগুলো থেকে কেমিক্যাল গোডাউন সরাতে অভিযান চালানো হয়েছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) ও রাজউকের ম্যাজিস্ট্রেটরা অভিযানে নেতৃত্ব দেন।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে চকবাজারের চুরিহাট্টায় অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনটি থেকে এক কিলোমিটার দূরে ইসলামবাগ ও শহীদনগর এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়।
এতে আরও অংশ নিয়েছে তিতাস গ্যাস, ঢাকা ওয়াসা ও ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি)।
তাদের অভিযানে ইসলামবাগ ও শহীদনগর এলাকার ২১টি বাড়ির গ্যাস-পানি-বিদ্যুৎ লাইন বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। রোববার এসব বাড়িতে আবারও অভিযান চালাবে সিটি কর্পোরেশন। যদি ওইদিন কেমিক্যাল গোডাউন পাওয়া যায় তবে মালিকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ডিএসসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা উত্তম কুমার রায় গণমাধ্যমকে এ কথা জানিয়েছেন।
মালামাল সরিয়ে নিলে রোববার গ্যাস-পানি এবং বিদ্যুৎ এর পুনঃসংযোগ দেয়া হবে বলে জানান এ কর্মকর্তা।
ডিএসসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা শরিফ আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, ভবনগুলোতে প্রচুর দাহ্য পদার্থ রয়েছে। মালিকদের রোববার পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে তাদের সমস্ত কেমিক্যাল টঙ্গী ও শ্যামপুর স্থানান্তর করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, পরে আমরা কেরানীগঞ্জে জায়গা করে দেবো। কেমিক্যালের গুদাম থেকে কেউ রাসায়নিক পদার্থ স্থানান্তর না করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, ঢাকার চকবাজার এলাকার নন্দকুমার দত্ত সড়কের চুড়িহাট্টা শাহী মসজিদের পেছনের একটি ভবনে বুধবার রাত ১০টা ১০ মিনিটে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ৩৭টি ইউনিট একযোগে কাজ করে বুধবার দিবাগত রাত সোয়া ৩টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। উদ্ধার অভিযান চলে বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত। এ ঘটনায় অন্তত ৬৭ জন নিহত হন। আহতদের মধ্যে অনেককে ঢামেক হাসপতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আরও দুজন। এ নিয়ে নিহতের সংখ্যা দাঁড়ায় ৬৯ জনে।
ঘটনার প্রাথমিক তদন্তে আগুনের কারণ হিসেবে কেমিক্যালকেই দায়ী করা হচ্ছে।
এ ঘটনার পর পুরান ঢাকার আবাসিক ভবনগুলো থেকে রাসায়নিক গুদাম সরানোর নির্দেশ দিয়েছে ডিএসসিসি। টাস্কফোর্সের মাধ্যমে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে সংস্থাটির পক্ষে ২৬ ও ২৭ ফেব্রুয়ারি মাইকিং করে ঘোষণা দেয়া হয়।
বিএ-১০/২৮-০২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)