তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস-এলএনজি আমদানিকে কেন্দ্র করে আরেক দফা বাড়ানো হচ্ছে গ্যাসের দাম।এরই মধ্যে দাম বাড়ানো নিয়ে শুরু হয়েছে তোড়জোড় ।শিল্প ও বাণিজ্য খাতে গ্যাসের দাম বাড়বে। মন্ত্রণালয় দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে।
আগামী ১১ই মার্চ গণশুনানির পর এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
শনিবার মিট দ্য এনার্জি রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, গ্যাসের দামে কিছু সমন্বয়ের জন্য বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনে (বিইআরসি) আমরা একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছি । বিইআরসি’র সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে গ্যাসের দাম কত বাড়ছে। তবে আবাসিক গ্যাস সংযোগের খরচ বাড়বে না বলে জানিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, গ্যাসের দাম বৃদ্ধি নিয়ে আগামী ১১ই মার্চ থেকে চার দিনের শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে বিইআরসিতে। এর মধ্যেই নতুন করে ফের গ্যাসের দাম বাড়ানোর ঘোষণা এলো সরকারের তরফ থেকে। তবে গ্যাসের দাম বাড়লেও এতে বিদ্যুতের দামে বড় ধরনের প্রভাব পড়বে না বলে আশ্বস্ত করেছেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি জানান, বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাসের ব্যবহার বাড়ানো হবে।
সেই সঙ্গে কিছু পেট্রোলিয়াম ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ হবে। পেট্রোলিয়াম ভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনে তুলনামূলকভাবে বেশি ব্যয় হওয়ায় ও গ্যাসের ব্যবহার বাড়ানোয় সামগ্রিকভাবে তাই বিদ্যুতের দামে ন্যূনতম প্রভাব পড়বে বলেই মনে করছেন তিনি।
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বলেন, ২০২৩ সালের পর বিদ্যুতের দাম কমতে পারে। কারণ নিরবচ্ছিন্ন ও কোয়ালিটি সম্পন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে যেসব উপাদানের প্রয়োজন, তার মূল্য সাশ্রয় করতে আরো তিন বছর লাগতে পারে।
অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, উত্তরবঙ্গের কয়লার বিষয়ে আমাদের দ্রুত একটা সিদ্ধান্তে আসতে হবে। কারণ আমাদের কয়লাখনি রেখে বিদেশ থেকে আমদানি করলে খরচ বাড়বে। তবে এখানে পরিবেশের বিষয়টিও মাথায় রাখতে হচ্ছে।
বিদ্যুৎ খাত নিয়ে অবাধ তথ্য প্রবাহের মাধ্যমে জনগণই বেশি উপকৃত হয় বলেও জানান নসরুল হামিদ।
এসএইচ-৩২/০২/১৯ (ন্যাশনাল ডেস্ক)