দ্বিতীয় ধাপে ভোটগ্রহণ শেষ, চলছে গণনা

পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ শেষে চলছে গণনা। এতে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের পাশাপাশি প্রার্থীর এজেন্টরাও উপস্থিত রয়েছেন। এর পরেই প্রকাশ করা হবে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যানসহ সংরক্ষিত নারী ভাইস চেয়ারম্যানদের নাম।

সোমবার (১৮ মার্চ) পাঁচ বিভাগের ১৬ জেলার ১১৬টি উপজেলায় ভোট গ্রহণ হয়। চলে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। ভোটের সময় দেশের বিভিন্ন উপজেলায় ভোট বর্জনের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে রাঙামাটির বাঘাইছড়ি, নানিয়ারচর ও কাউখালী উপজেলায় রাতে ব্যালটে সিল, জাল ভোট, এজেন্টদের বের করে দেওয়া ও ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যেতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ এনে একাধিক প্রার্থী ভোট বর্জন করেন।

সকাল ১০টার দিকে বাঘাইছড়িতে চেয়ারম্যান প্রার্থী বড়ঋষি চাকমাসহ তিন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচন বর্জন করেন। তিন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হলেন সুমিতা চাকমা, সমীরণ চাকমা ও অমর শান্তি চাকমা। এরপর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নানিয়ারচরে তিন চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ ভাইস চেয়ারম্যান পদের সাত প্রার্থী ভোট বর্জন করে নির্বাচন স্থগিতের আবেদন করেছেন।

সেইসঙ্গে দুপুর ১২টার দিকে কাউখালী উপজেলায় নির্বাচন বর্জন করে সরে দাঁড়িয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী অর্জুন মনি চাকমা।

জানা গেছে, দ্বিতীয় ধাপে ১৭টি জেলার ১২৯টি উপজেলায় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে আদালতের আদেশে গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার নির্বাচন স্থগিত করা হয়। এ ছাড়া গোপালগঞ্জের পাঁচটি উপজেলার নির্বাচন তৃতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত হবে। দিনাজপুর জেলার সদর উপজেলার নির্বাচন চতুর্থ ধাপে অনুষ্ঠিত হবে। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছয়টি উপজেলা পরিষদে তিন পদের সব প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। সুতরাং এই ছয়টিতে ভোট গ্রহণের প্রয়োজন নেই। সব মিলিয়ে আজ ১১৬টি উপজেলায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ৭ হাজার ৩৯টি ভোটকেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা ছিলো ১ কোটি ৭৯ লাখ ৯ হাজার ৬ জন।

১১৬ উপজেলার মোট ভোটার ও প্রার্থী

দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মোট ভোটার এক কোটি ৭৯ লাখ নয় হাজার ছয়জন। মোট ভোটকেন্দ্র ছিল সাত হাজার ৩৯টি। মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী এক হাজার ৩২৫ জন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ৩৭৭ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ৫৪৮ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ৪০০ জন।

বিএ-০৮/১৮-০৩ (ন্যাশনাল ডেস্ক)