খালেদার অবস্থা পর্যবেক্ষণে মেডিকেল বোর্ড

বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেছেন তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা।

সোমবার দুপুর ২টা ৫ মিনিটে মেডিকেল বার্ডের সদস্যরা খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে তার কেবিনে যান।তারা কিছু সময় খালেদা জিয়ার সঙ্গে কথা বলেন ও তার অবস্থা সম্পর্কে জানতে চান।

তবে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত মেডিকেল বোর্ড খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য সম্পর্কে কোনো ব্রিফ করেননি।

খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রধান হিসেবে রয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) মেডিসিন বিভাগের প্রধান জিলন মিয়া সরকার। বোর্ডের সদস্য রিউমেটোলজি বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ আতিকুল ইসলাম, বিএসএমএমইউ পরিচালক (হাসপাতাল) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এবিএম মাহাবুবুল আলম,অতিরিক্ত পরিচালক (হাসপাতাল) নাজমুল করিম এবং রিউমেটোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শামিম আহমেদ তার সঙ্গে ছিলেন।

এর আগে সোমবার দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে খালেদা জিয়াকে বহনকারী গাড়ি বহর পুরান ঢাকার পুরনো কারাগার থেকে বের হয়ে ১২টা ৩৬ মিনিটে বিএসএমএমইউতে পৌঁছায়।এর আগে সকালে খালেদা জিয়ার ব্যবহার্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

পৌঁছানোর পর আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর একটি দল হুইলচেয়ারে করে বিএনপি চেয়ারপারসনকে হাসপাতালের কেবিনে নিয়ে যান। খালেদা জিয়ার জন্য হাসপাতালের ৬২১ ও ৬২২ নম্বর কেবিন ঠিক করা আছে। তিনি এখন ৬২১ নম্বর কেবিনে বিশ্রাম করছেন।

চিকিৎসার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। সোমবার দুপুর ১২টা ৩৬ মিনিটে হাসপাতালে পৌঁছায় খালেদা জিয়াকে বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স।

পরে হুইলচেয়ারে করে তাকে ৬২১ নম্বর কেবিনে নেয়া হয়। চিকিৎসকরা কেবিনে যেতে খালেদা জিয়ার অনুমতি চাইলে তিনি অনুমতি দেননি। বলেন, আপনাদের এখন ঢুকতে হবে না, আমি এখন রেস্ট নেব। আমি যখন বলবো তখন আসবেন।

বিএসএমএমইউতে চিকিৎসা নিতে সম্মতির কথা আজ সকালে কারাকর্তৃপক্ষকে জানান খালেদা জিয়া। সকালে কারাকর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, আজ যেকোনো সময় তাকে কারাগার থেকে হাসপাতালে নেয়া হতে পারে।

এর আগে গত মাসের শুরুর দিকেও খালেদা জিয়াকে একবার বিএসএমএমইউতে নেয়ার কথা ছিল। তখন হাসপাতালের কেবিনও ঠিক করা হয়েছিল। হাসপাতাল ঘিরে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত খালেদা জিয়া রাজি না হওয়ায় তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়নি।

প্রসঙ্গত দুর্নীতির দুই মামলায় ১৭ বছর দণ্ডিত হয়ে গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। কারাবন্দি খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ বলে বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে। তারা খালেদা জিয়াকে বিএসএমএমইউয়ে চিকিৎসা দেয়ার বিষয়ে আগ্রহী নয়। বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসার দাবি জানিয়ে আসছে বিএনপি। তবে সরকার ও ক্ষমতাসীন দল তাকে বিএসএমএমইউতে চিকিৎসা দেয়ার বিষয়ে বারবার বলে আসছে।

বিএ-০৬/০১-০৪ (ন্যাশনাল ডেস্ক)