১১ বছরের গৃহকর্মীকে আটকে রেখে ধর্ষণ

সাভারে ১১ বছরের গৃহকর্মীকে ছয় মাস আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত গৃহকর্তা ওমর ফারুককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সাভারের তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের ঝাউচর মধ্যপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।

শিশুটির বাবা ফজলুল হকের অভিযোগ, তার ভায়রার ছেলে আল-আমিন অভিযুক্ত ওমর ফারুকের বাড়ির পাশে বসবাস করে। এরই সূত্র ধরে তিন বছর আগে আল-আমিনের মাধ্যমে ওমর ফারুকের বাসায় গৃহকর্মীর কাজ শুরু করে তার মেয়ে। কিন্তু এই দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করে এলেও তার মেয়েকে কোনো পারিশ্রমিক দেয়নি ফারুক। তাই মেয়েকে ওই বাসা থেকে ফিরিয়ে আনার জন্য একাধিকবার গেলেও ওমর ফারুক বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে তাকে তাড়িয়ে দেয়।

ফজলুল হক বলেন, একপর্যায়ে গত বুধবার মেয়েকে আনার জন্য ওমর ফারুকের বাসায় গেলে মেয়েকে একটি কক্ষের মধ্যে তালাবদ্ধ এবং অসুস্থ অবস্থায় দেখতে পাই। এ সময় মেয়ে জানায়, গৃহকর্তা ওমর ফারুক গত ৬ মাস যাবৎ তাকে ধর্ষণ করে আসছে। সে বিষয়টি ওমর ফারুকের স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা শিমুকে জানালে তিনি উল্টো বিষয়টি কাউকে বললে প্রাণনাশের হুমকি দেন এবং মারধর করেন।

মেয়ের কাছ থেকে নির্যাতনের বিষয়টি জানার পর বুধবার ওমর ফারুক ও তার স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা শিমুকে আসামি করে সাভার মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণ ও ধর্ষণে সহায়তা করার অভিযোগে মামলা করেন ফজলুল হক।

সাভার মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) সওগাতুল আলম বলেন, প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। মামলার পর ওই দিনই অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত গৃহকর্তা ওমর ফারুককে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপর আসামি রাজিয়া সুলতানা পালাতক রয়েছে। ভুক্তভোগী শিশুটিকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

বিএ-০৮/০৫-০৪ (ন্যাশনাল ডেস্ক)