পহেলা বৈশাখে বিভিন্ন উৎসব আয়োজনকে ঘিরে রাজধানীতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থার পাশাপাশি তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে র্যাবের মোবাইল কোর্ট মাঠে থাকবে। এবারই প্রথম এমন উদ্যোগ নিচ্ছে র্যাব। সেই সাথে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, ডগ স্কোয়াডসহ র্যাবের প্রায় পুরো শক্তি নিয়োগ করা হবে
শুক্রবার সকাল ১১ টায় ঢাকার রমনা বটমুলে আয়োজিত নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে র্যাবের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক কর্ণেল জাহাঙ্গীর আলম সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানের নিরাপত্তায় অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মতো র্যাবের পক্ষ থেকেও নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে আমরা তথ্য সংগ্রহ করেছি। সকল গোয়েন্দা সংস্থার সাথে সমন্বয় করে কাজ করা হচ্ছে। কোথাও কোনো সমস্যা নেই।
এছাড়া সার্বিক নিরাপত্তায় সাদা পোশাকে টহলসহ বিভিন্ন ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, নববর্ষের বড় বড় ভেন্যুতে আমাদের মোবাইল পেট্রোল, মোটরসাইকেল পেট্রোল, অবজারভেশন পোস্ট থাকবে। রাজধানীতে যতো ভেন্যু আছে, সবগুলোকে সিসিটিভির আওতায় নিয়ে আসা হবে। রমনা বটমূলসহ গুরুত্বপূর্ণ সব ভেন্যুতে ডগ স্কোয়ার্ডসহ বোম ডিসপোজাল ইউনিট সুইপিং করবে। সার্বিক দিক দিয়ে রাজধানীতে যতো ভেন্যু রয়েছে, সেগুলো নিরাপদ রাখার জন্য শতভাগ ব্যবস্থা নিচ্ছি।
বড় ভেন্যুগুলোর সার্বিক কার্যক্রম মনিটরিং করার জন্য আমরা কন্ট্রোলরুম স্থাপন করেছি। বড় ভেন্যুতে ভ্রাম্যমাণ আদালতসহ মেডিকেল টিম থাকবে যাতে মানুষ নির্বিঘ্নে নববর্ষ উদযাপন করতে পারে।
র্যাবের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক বলেন, রাজধানীর বাইরে দেশের অন্যান্য জায়গায় নববর্ষের বিশেষ প্রোগ্রাম হচ্ছে, সেখানে র্যাবের ব্যাটালিয়ন ও ক্যাম্পের পক্ষ থেকে সাদা পোশাকে ও পোশাকে পূর্ণ নিরাপত্তা প্রদানে উপস্থিত থাকবে।
পহেলা বৈশাখ ঘিরে কোনো ধরনের হুমকি আছে কি-না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোনো হুমকির খবর আমাদের কাছে নেই।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, রাজধানীতে র্যাবের পাঁচটি ব্যাটালিয়নের অধিকাংশ কর্মকর্তারাই নববর্ষের নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে।
এদিকে, পহেলা বৈশাখ উদযাপনের কেন্দ্রস্থল রমনা বটমূলসহ সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা হাতে নিয়েছে র্যাব-৩।
বিএ-০৮/১২-০৪ (ন্যাশনাল ডেস্ক)