ঈদের আগেই পোশাক শ্রমিকদের বেতন-বোনাস

পবিত্র ঈদুল আজহার আগেই যথা সময়ে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা ও ঈদ বোনাস প্রদান করতে মালিকদের নির্দেশ দিয়েছে সরকার।

রোববার সচিবালয়ে শ্রম মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট কোর কমিটির সভা শেষে এ কথা জানান শ্রম মন্ত্রণালয়ের সচিব কে এম আলী আজম।

সভায় শ্রম প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান অসুস্থতার কারণে উপস্থিত হতে পারেননি। তবে তিনি বাসা থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সভায় সভাপতিত্ব করেন। এতে বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ এবং শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সভা শেষে সচিব বলেন, টঙ্গী, পুবাইল, বোর্ড বাজার, গাজীপুর সদর, কাশিমপুর, কোনাবাড়ী, কালিয়াকৈর, কাপাসিয়া, কালিগঞ্জ, শ্রীপুর, মাওনা, মিরের বাজার ও ভালুকা এলাকার কারখানা সমূহ শ্রমিকদের ১০ আগস্ট থেকে ছুটি শুরু হবে। এসব এলাকার কারখানা শ্রমিকদের ছুটি থাকবে ১৭ আগস্ট পর্যন্ত।

এছাড়া আশুলিয়া, কলমা, সাভার, হেমায়েতপুর, ধামরাই, জিরানি বাজার, বিকেএসপি, তুরাগ ও মানিকগঞ্জ এলাকার কারখানার শ্রমিকদের ছুটি শুরু হবে ১১ আগস্ট থেকে। এসব এলাকার শ্রমিকদের ছুটি শেষ হবে ১৮ আগস্ট।

সচিব বলেন, ছুটি ঘোষণার আগে প্রত্যেক কারখানার মালিককে বেতন-বোনাস দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া শিল্প এলাকা ৯ ও ১০ জুলাই ব্যাংক খোলা থাকবে।

তিনি বলেন, চার থেকে পাঁচটি কারখানায় সমস্যা হতে পারে, সে জন্য বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ কর্মকর্তাদেরকে বলা হয়েছে। গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী গাজীপুর ১টি, ঢাকা ২টি ও নারায়ণগঞ্জে দুটি কারখানায় বেতন ও বোনাসের জন্য ঝামেলা হতে পারে। তবে আশা করছি তা ঠিক হয়ে যাবে।

তিনি আরও বলেন, ইতোপূর্বে বিকেএমইএর ঢাকাস্থ একটি কারখানায় সমস্যা হওয়ায় তারা সিএনজি ও যন্ত্রাংশ বিক্রি করে বেতন-ভাতা পরিশোধ করেছে।

নির্ধারিত সময়ে বেতন-বোনাস দিচ্ছে কি না এবং আইন-শৃঙ্খলাসহ সার্বিক দেখভাল করার জন্য একটি মনিটরিং সেল গঠন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

সরকারি ছুটি ও সাপ্তাহিক ছুটি বাদে বাকি দিনসমূহ কারখানা কর্তৃপক্ষ সাধারণ ডিউটি সমন্বয় করতে পারবেন বলে সভায় জানানো হয়। সভায় আরও জানানো হয়, উল্লেখিত তারিখের আগে কোনো কারখানা কর্তৃপক্ষ ইচ্ছা করলে ছুটি প্রদান করতে পারবেন। ওইসব এলাকা ছাড়া অন্যান্য এলাকার স্ব স্ব কারখানা কর্তৃপক্ষ নিজেদের রফতানির সাথে সমন্বয় করে ঈদের পূর্বে ছুটি প্রদান করবে বলেও সভায় জানানো হয়।

বিএ-১৪/০৪-০৮ (ন্যাশনাল ডেস্ক)