দেশজুড়ে দুদকের ছয় অভিযান

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এনফোর্সমেন্ট ইউনিটে আসা অভিযোগের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার সারাদেশে ছয়টি অভিযান পরিচালিত হয়েছে। এর মধ্যে নওগাঁর বদলগাছী থেকে মথুরাপুর সড়কে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারপূর্বক রাষ্ট্রীয় অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে অভিযান চালিয়েছে দুদক। সমন্বিত জেলা কার্যালয় রাজশাহী থেকে এ অভিযান চালানো হয়।

সরেজমিন অভিযানে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পায় দুদক টিম। অত্যন্ত নিম্নমানের ইট ও খোয়া ব্যবহার করে ওই সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে মর্মে দুদক টিমের নিকট প্রতীয়মান হয়।

দুদক টিম জানায়, এ নির্মাণে উপজেলা প্রকৌশল অফিস এবং সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারদের অনিয়ম ও দুর্নীতি নিরূপণে বিস্তারিত অনুসন্ধানের অনুমোদন চেয়ে কমিশনে প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হবে।

এছাড়া একই টিম স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কৃষিজমি গ্রাস করে অবৈধভাবে ইটভাটা তৈরি করে কৃষিজমি ধ্বংস করার অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করেছে।

কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের ডিপিপি প্রকল্পের বাস্তবায়নে ইন রাজাপাড়া রোড থেকে সিটিজি রোড পর্যন্ত সড়ক নির্মাণে অভিযোগের প্রেক্ষিতে সমন্বিত জেলা কার্যালয়, কুমিল্লার একটি এনফোর্সমেন্ট টিম প্রকল্পে বাস্তবায়নাধীন রাস্তার কাজ পর্যবেক্ষণ করেছে। অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য প্রকল্পের প্রাক্কলন এবং ঠিকাদারকে প্রদানকৃত অর্থ সংক্রান্ত নথি খতিয়ে দেখা হয়।

পরে বেশ কিছু অনিয়মের বিষয়ে মেয়রের সাথে আলোচনা করে দুদক টিম। মেয়র দুদক টিমকে জানান, উল্লিখিত কাজটি টেন্ডার ডকুমেন্ট অনুযায়ী ঠিকাদার কর্তৃক বুঝিয়ে দেয়ার মেয়াদ জুন ২০২০ পর্যন্ত রয়েছে। এ ক্ষেত্রে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে তিনি এ অনিয়মের বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন।

এছাড়াও ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে যোগসাজশপূর্বক পানি শোধনাগার প্রকল্পের কাজ শেষ না করে বিল প্রদানের অভিযোগে যশোরের ঝিকরগাছায় রাস্তা নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগে এবং টাঙ্গাইল বিআরটিএ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গ্রাহক হয়রানির অভিযোগে যথাক্রমে প্রধান কার্যালয়, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, যশোর এবং সমন্বিত জেলা কার্যালয়, টাঙ্গাইল থেকে পৃথক ৩টি অভিযান চালানো হয়।

বিএ-১৫/২৮-১১ (ন্যাশনাল ডেস্ক)