দুই জেলায় সড়কে ঝরল ১০ প্রাণ

কুষ্টিয়া ও নেত্রকোনায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৪ জনসহ মোট ১০ জন নিহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার বিকেলে ভেড়ামারা উপজেলায় ট্রাক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে একই পরিবারের ৪ জনসহ ৫ জন নিহত হয়েছেন।

এর আগে সকালে মিরপুর উপজেলায় ট্রেনের ধাক্কায় স্যালো ইঞ্জিনচালিত ট্রলির চালক ও হেলপার নিহত হন।

এ ছাড়া নেত্রকোনার শ্যামগঞ্জ বিরিশিরি সড়কে ট্রাক ও অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন।

কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় ট্রাক ও সিএনজির সংঘর্ষে নারী ও শিশুসহ অন্ততপক্ষে ৫ জন নিহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার বিকাল ৩টার দিকে ভেড়ামারা উপজেলায় কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী মহাসড়কের ভেড়ামারা পাওয়ার হাউস যাত্রীছাউনির সামনে ট্রাক-সিএনজির সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় নিহতরা হলেন- রাজশাহীর বাঘা উপজেলার সরেরহাট গ্রামের আবদুস সালামের ছেলে মেজবাউল ওরফে মাসুম (৩৫), তার স্ত্রী রুনা বেগম (২৬), মা মাহমুদা খাতুন (৫৫), ছেলে রুজভী (৯ মাস) ও সিএনজির ড্রাইভার মো. জামান (৩২)।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, বিকাল ৩টার দিকে একটি যাত্রীবাহী সিএনজি কুষ্টিয়া অভিমুখে যাওয়ার সময় বিপরীতমুখী দ্রুতগামী একটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই সিএনজিচালক জামান নিহত হন।

আহত রুনা বেগম, রুজভীকে ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পথে মারা যান। এ ছাড়া মারাত্মক আহত মেজবাউল ও তার মা মাহমুদা খাতুনকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জয়নুল আবেদিন জানান, ট্রাক ড্রাইভার ঘাতক ট্রাকটি ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।

অপরদিকে মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে খুলনা থেকে রাজশাহীগামী কপোতাক্ষ আন্তঃনগর ট্রেন মিরপুর উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের কাটদহচর রেল ক্রসিংয়ে একটি ইঞ্জিনচালিত ট্রলিকে ধাক্কা দেয়। ট্রেনের ধাক্কায় ট্রলিটি ছিটকে দুমড়ে-মুচড়ে পড়ে।

এতে ওই ট্রলির চালক ছাতিয়ান ইউনিয়নের বেশিনগর গ্রামের আজগর আলীর ছেলে কাওছার (৩৫) ও ইস্কান্দার আলীর ছেলে হেলপার মহিবুল (৪০) ঘটনাস্থলেই মারা যান।

পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ দুটি উদ্ধার করেছে বলে জানিয়েছেন পোড়াদহ জিআরপি থানার ওসি জসিম উদ্দিন খন্দকার।

নেত্রকোনা: নেত্রকোনার শ্যামগঞ্জ বিরিশিরি সড়কে ট্রাক ও অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার বিকাল ৪টার দিকে শ্যামগঞ্জ বিরিশিরি সড়কের উৎরাইল বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার বিকাল ৪টার দিকে শ্যামগঞ্জ বিরিশিরি সড়কের উৎরাইল বাজার এলাকায় একটি বালুবাহী ট্রাক বিপরীত দিক থেকে আসা একটি অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।

এতে ঘটনাস্থলেই দুর্গাপুর উপজেলার বিশ্বনাথপুর গ্রামের নূর ইসলামের স্ত্রী সেলিমা খাতুন (৪০) নিহত হন।

এ ঘটনায় একই উপজেলার শিমুলতলী গ্রামের মৃত ঈমাম আলীর ছেলে আবদুল কুদ্দুস (৪৫) ও একই উপজেলার ইদ্রপুর গ্রামের মৃত আবদুল কুদ্দুসের ছেলে নুরু মিয়া (৪০) গুরুতর আহত হন।

তাদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দু’জনকেই মৃত ঘোষণা করেন।

দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘাতক ট্রাককে আটক করা গেলেও ড্রাইভার পালিয়ে গেছে।

বিএ-১৭/২৪-১২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)