ইসির অনুমতি ছাড়া নির্বাচন কর্মকর্তাদের বদলি নয়

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ফল প্রকাশের ১৫ দিন পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অনুমতি ছাড়া নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বদলি করা যাবে না। নির্বাচনের কাজে দায়িত্বপ্রাপ্তদের সব ধরনের সহযোগিতা করতে হবে। এমন বিধি-বিধান উল্লেখ করে পরিপত্র জারি করার অনুরোধ জানিয়ে সোমবার মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে চিঠি দিয়েছে ইসি।

ওই চিঠিতে নির্বাচনী আইনের সংশ্লিষ্ট ধারাগুলোও উল্লেখ করা হয়েছে।

ইসির সিনিয়র সচিব মো. আলমগীরের সই করা চিঠিতে বলা হয়েছে, এই নির্বাচন পরিচালনার জন্য রিটার্নিং অফিসার এবং সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং অফিসারকে মনোনয়নপত্র গ্রহণ ও বাতিল আদেশের বিরুদ্ধে আপিল গ্রহণ এবং আপিল নিষ্পত্তির জন্য বিভাগীয় কমিশনারকে আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়েছে, নির্বাচন সংক্রান্ত কাজ সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা ও সম্পাদনের জন্য বিভিন্ন সরকারি দফতর, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্য থেকে প্রয়োজনীয়সংখ্যক প্রিসাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার এবং পোলিং অফিসার নিয়োগ করা হবে।

এছাড়া বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারি এবং সরকারি অনুমোদনপ্রাপ্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদেরও নির্বাচনে দায়িত্ব দেয়া হবে। ভোট কেন্দ্রের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয়সংখ্যক ম্যাজিস্ট্রেট ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার সদস্যদের মোতায়েনের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার স্থাপনা ভোট কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হবে।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) নির্বাচন বিধিমালা অনুযায়ী নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার তারিখ থেকে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর ১৫ দিন অতিক্রান্ত না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের অনুমতি ব্যতিরেকে নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের অন্যত্র বদলি করা যাবে না।

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মঙ্গলবার ঢাকার দুই সিটিতে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ দিন। ৩০ জানুয়ারি ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোট হবে।

বিএ-১৩/৩০-১২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)