সাংবাদিক শেলু আকন্দের উপর হামলার সুবিচার দাবি

গণমাধ্যম অধিকার বিষয়ে কর্মরত সংগঠনসমুহের নেটওর্য়াক ‘মুক্ত প্রকাশ‘ নেতৃবৃন্দ জামালপুরের সন্ত্রাসীদের হামলায় মারাত্মকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত শেলু আকন্দের সুবিচার ও বিকলাঙ্গ হবার জন্য ক্ষতি পূরণ দাবি করেন। সেই সাথে এলাকায় বসবাসরত সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের দাবি জানিয়েছেন তারা।

রোববার ঢাকার সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন মুক্ত প্রকাশের প্রধান উপদেষ্টা এবং লন্ডন ভিত্তিক আর্টিকেল ১৯ এর রিজিওনাল ডিরেক্টর ফারুখ ফয়সল, মুক্ত প্রকাশ চেয়ারপারসন অধ্যাপিকা ডক্টর সৈয়দা আইরিন জামান, জেনারেল সেক্রেটারি সালিম সামাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য আহমাদ উল্লাহ এবং ইফাত নওরিন মল্লিক। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সহ-সভাপতি খায়রুজ্জামান কামাল।

বলা হয়, গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর সিনিয়র সাংবাদিক শেলু আকন্দ সন্ত্রাসীদের দ্বারা আক্রান্ত হয়ে দুপা ভেঙ্গে ঢাকার শেরে বাংলা নগরের পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তিনি প্রথমে জামালপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। কিন্ত উন্নত চিকিৎসার জন্য পরবর্তীতে এই হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।

শেলু আকন্দ বাংলা বাজার পত্রিকার জামালপুর প্রতিনিধি এবং দৈনিক পল্লী কণ্ঠ প্রতিদিনের রিপোর্টার। তাঁর বড়ভাই দেলোয়ার হোসেন আকন্দ জামালপুর সদর থানায় হামলার জন্য দায়ি করে পৌর কাউন্সিলর হাসানুজ্জামান খান, তাঁর ছেলে রকিব খান এবং আরো চার জন সন্দেহভাজনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন।

সম্মেলনে বলা হয়, গত ৪ ফেব্রুয়ারি মুক্তপ্রকাশের একটি প্রতিনিধিদল জামালপুরের সাংবাদিকদের সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি এবং নির্যাতনের চিত্র পরিদর্শনের যান। নেতৃবৃন্দ এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক এনামুল হক, সহকারি পুলিশ সুপার মুহাম্মদ বাছির উদ্দিন, চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট রফিকুল ইসলামের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে জামালপুর প্রেস ক্লাবের সাংবাদিকদের সাথে আলোচনা করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ক্লাবের সভাপতি হাফিজ রায়হান সাদা এবং সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমানসহ অন্যান্যরা।

আরো বলা হয়, জামালপুরের ৪৮ জন সাংবাদিক নিজেদের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সদর থানায় জেনারেল ডাইরি করেছেন। ইতিপূর্বে কখনো এত সংখ্যক সাংবাদিক একসঙ্গে নিরাপত্তার চেয়ে ডায়েরি করেননি। এটা উদ্বেগের বিষয়। তাই সাংবাদিকদের নিরাপত্তা দাবি জানানো হয়।

এসএইচ-১৪/১০/২০ (ন্যাশনাল ডেস্ক)