হরিলুটের ভর্তুকি দিতেই বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, পাওয়ার প্লান্টের নামে তারা যে লুটপাট করেছে, তার ভর্তুকি দেয়ার জন্যই এই দাম বৃদ্ধি।

পানি ও বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন। এসময় বর্তমান সরকারের সময়ে আটবার বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে বলে জানান বিএনপি মহাসচিব।

বলেন, এই সরকার বিদেশে হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে। কুইকরেন্টালের নামে জনগণের টাকা লুট করা হয়েছে। সেই লুটপাটের সমন্বয় করতে এখন আবার জনগণের পকেট কাটতে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে পানির দাম পাঁচবার বাড়ল। কিন্তু সে পানি মুখে দেয়া যায় না, খাওয়াও যায় না। আর বিদ্যুতের দাম বেড়েছে আটবার।

এই মূল্যবৃদ্ধি বাতিল না করলে জনগণের উত্তাল তরঙ্গে সরকার ভেসে যাবে হুশিয়ার করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজ মানুষের পকেট কেটে তারা বিদ্যুতের দাম বাড়াচ্ছে। যদি কোনো পাওয়ার প্ল্যান্ট বিদ্যুৎ সরবরাহ নাও করে তবু তাদের ভর্তুকি দিতে হবে, এই হচ্ছে এই লুটেরা সরকারের চুক্তি। গতকাল জানলাম, প্রতি বছর ৫১ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। এই টাকা জনগণের, বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে জনগণের পকেট থেকে নেয়া হচ্ছে।

কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করে দলটির মহাসচিব বলেন, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার যে ব্লাড পরীক্ষা হয়েছে, সেখানে তার ফাস্টিং সুগার হচ্ছে ১৪.৫, যা চিন্তাও করা যায় না। ১৪.৫ যদি তার নিয়মিত সুগার হয়, তা হলে সেটি তার হার্টে এফেক্ট করতে পারে, কিডনিতে এফেক্ট করতে পারে বা লাঞ্চে এফেক্ট করতে পারে।

‘ভারত থেকে অনেককে বাংলাদেশে পাঠানোর পাঁয়তারা চলছে’ মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, নতজানু পুতুল সরকার ক্ষমতায় থাকায় এ বিষয়ে কিছুই বলছেন না ক্ষমতাসীনরা। তিনি বলেন, জনগণের অধিকার, স্বাধীনতা বিক্রি করে দিচ্ছে সরকার। স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রের যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন নবী খান সোহেলের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, বেগম সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান এজেডএম জাহিদ হোসেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন প্রমুখ অংশ নেন।

বিএ-১০/০৩-০৩ (ন্যাশনাল ডেস্ক)