যে কারণে লকডাউন বাড়ানো হলো

করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি রোধে লকডাউনের সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। লকডাউনের সময় বাড়ানোর বিষয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, জাতীয় টেকনিক্যাল কমিটির পরামর্শক্রমে লকডাউন আরও সাত দিন বাড়ানো হয়েছে।

টেকনিক্যাল কমিটি বলছে ভাইরাসের যে চেইনটি কাজ করছে, লকডাউন অব্যাহত রাখা গেলে সেটি এই মাসের শেষে বা আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহের দিকে পুরোপুরি ভেঙে দেওয়া সম্ভব হবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই পরামর্শ বিবেচনায় রেখে আগামী ২২ থেকে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন বাড়ানো হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঊর্ধ্বগতিতে আছে। কিন্তু চলমান লকডাউনের কারণে আমরা ইতোমধ্যে সুফল পেতে শুরু করেছি। আমরা মনে করছি এই ধারা অব্যাহত রাখা গেলে সংক্রমণের নিম্নগতি নিশ্চিত করা যাবে।

এর আগে, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর ইঙ্গিত দেন।

রোববার রাতে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির ৩১তম সভা থেকে লকডাউন বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়েছে। এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জাতীয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লা বলেন, বৈজ্ঞানিকভাবে দুই সপ্তাহের কম লকডাউনে কার্যকর ফলাফল আশা করা যায় না। দেশের অর্থনীতি সচল রাখার স্বার্থে শিল্প-কলকারখানা খোলা রাখার বিষয়টি কমিটি উপলব্ধি করে। তবে, বেসরকারি দফতর, ব্যাংক খোলা রাখা, ক্রমবর্ধমানভাবে ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচল, ইফতার বাজারে অনাকাঙ্খিত ও অপ্রয়োজনীয় অতিরিক্ত ভিড় লকডাউনের সাফল্যকে অনিশ্চিত করে।

লকডাউনের সময় স্বাস্থ্যসেবা, ফায়ার সার্ভিস ও অন্যান্য জরুরি সেবা ছাড়া সবকিছু বন্ধ রাখার পরামর্শ দিয়েছে কমিটি। খোলা রাখা যাবে এমন জরুরি সেবার তালিকা প্রকাশ করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে কমিটি। এছাড়া কাঁচা বাজার আবারও উন্মুক্তস্থানে বসানোর প্রস্তাব দিয়েছে জাতীয় কমিটি।

এসএইচ-৩১/১৯/২১ (ন্যাশনাল ডেস্ক)