মাছের ড্রামে লুকিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন তারা

প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিতে মাছবাহী ট্রাকের ড্রামের ভেতর চেপে বসেছিলেন ১০ জন যাত্রী। ট্রাকটি ঢাকা থেকে বের হয়ে জয়দেবপুর চৌরাস্তা পাড় হলেও রাজেন্দ্রপুর এলাকায় মহানগর পুলিশের চোখ ফাঁকি দিতে পারেননি লুকিয়ে থাকা যাত্রীরা।

পুলিশ তাদের ড্রাম থেকে বের করে ছেড়ে দিলেও ট্রাকচালকের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে মামলা করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে রাজেন্দ্রপুর চৌরাস্তার গাজীপুর মহানগর পুলিশের চেকপোস্টে এ ঘটনা ঘটে।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সদর জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) মো. বেলাল হোসেন বলেন, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের রাজেন্দ্রপুর চৌরাস্তায় পুলিশ চেকপোস্ট বসিয়ে বিভিন্ন গাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছিল। এ সময় ঢাকা থেকে ময়মনসিংহগামী একটি মাছবাহী ট্রাক দেখে সন্দেহ হলে চেকপোস্টে থামিয়ে তল্লাশি করা হয়।

ট্রাকে তল্লাশি করে মাছের ড্রামের ভেতর থেকে ১০ জন যাত্রীকে উদ্ধার করে পুলিশ। তারা ড্রামের ভেতর বসা ছিল। পরে পুলিশ ড্রামের ভেতর থেকে যাত্রীদের নামিয়ে ছেড়ে দেয় এবং চালকের বিরুদ্ধে ট্রাফিক আইনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় বলেও জানান তিনি।

এদিকে নয়দিন বিরতি দিয়ে আবারও কঠোর লকডাউন শুরু হয়েছে শুক্রবার থেকে। এর মধ্যেই গাজীপুরে সিএনজি অটোরিকশা, ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা, ইজিবাইকসহ নানা ধরনের হালকা যানবাহন চলাচল করছে। এইসব চলার পথে স্বাস্থ্যবিধি মানার তেমন একটা প্রবণতা দেখা যাচ্ছে না।

অবশ্য ঢাকা-ময়মনসিংহ এবং ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে চেকপোস্ট বসিয়ে ও মোবাইল কোর্টের তৎপরতা মাধ্যমে যানবাহন নিয়ন্ত্রণ ও স্বাস্থ্যবিধি মানানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। অতি গুরুত্বপূর্ণ যানবাহন না হলে ঘুরিয়ে দেয়া হচ্ছে নানাভাবে সতর্ক করা হচ্ছে।

সড়কে চলাচলকারী লোকজন বলছেন, হয়তো লকডাউন দিয়ে তাদের ভোগান্তির সৃষ্টি করা হচ্ছে।

এসএইচ-২৮/২৩/২১ (ন্যাশনাল ডেস্ক)