এনআইডি না থাকলেও টিকা নেবেন যেভাবে

করোনাভাইরাসের টিকা নেওয়ার সর্বনিম্ন বয়স ১৮ বছর করা হচ্ছে। আগামী ৮ আগস্ট থেকে ১৮ বছর ও তার বেশি বয়সীদের টিকার নিবন্ধন শুরু হবে বলে জানা গেছে। ইতোমধ্যে টিকা গ্রহণের বয়সসীমা ৩৫ থেকে কমিয়ে ২৫ করা হয়েছে। যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নেই তারাও পাবেন করোনার টিকা।

শুক্রবার এ তথ্য জানান তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

যাদের এনআইডি নেই তাদের জন্য কী ব্যবস্থা জানতে চাইলে পলক বলেন, কারো বয়স ১৮ হলেই তিনি টিকা নেওয়ার জন্য উপযুক্ত হবেন। যাদের এনআইডি নেই তারা সংশ্লিষ্ট টিকাদান কেন্দ্রে সরাসরি উপস্থিত হয়ে টিকা নিতে পারবেন, তবে সেজন্য সংশ্লিষ্ট এলাকার মেয়র, উপজেলা পরিষদ অথবা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের প্রত্যয়নপত্র লাগবে। অর্থাৎ ওই এলাকার জনপ্রতিনিধির প্রত্যয়নপত্র প্রয়োজন হবে।

প্রতিমন্ত্রী জানান, ১৮ ও তদূর্ধ্ব বয়সীরা টিকা নেওয়ার পরে তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার ব্যাপারে সুপারিশ করা হবে।

এদিন সকালে করোনার টিকা নেওয়ার সর্বনিম্ন বয়সসীমা ২৫ বছর নির্ধারণ করেছে সরকার। এখন থেকে ২৫ বছর বয়স হলেই নাগরিকরা করোনার টিকা নিতে পারবেন। বয়সের নতুন এ সীমা নির্ধারণের কারণে টিকার জন্য নিবন্ধনে সুরক্ষা অ্যাপেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। অ্যাপে টিকা গ্রহণের সর্বনিম্ন বষসসীমা ২৫ বছর উল্লেখ করা আছে। এর পরের ধাপে সর্বনিম্ন বয়স নির্ধারণ করা হচ্ছে ১৮।

এর আগে গত ১৯ জুলাই করোনার টিকা নেওয়ার সর্বনিম্ন বয়সসীমা ৩০ বছর নির্ধারণ করেছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর দুই সপ্তাহ আগে গত ৫ জুলাই করোনার টিকা নেওয়ার সর্বনিম্ন বয়স ৩৫ বছর করা হয়েছিল।

তবে গত ২৩ জুলাই শুক্রবার সকালে রাজধানীর মুগদা হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম জানান, টিকা গ্রহণের সর্বনিম্ন বয়সসীমা ১৮ করা হবে। এরইমধ্যে টিকা নিবন্ধনের জন্য বয়সসীমা ২৫ বছরে নামিয়ে আনা হলো।

নতুন বয়সসীমা নির্ধারণ করায় বৃহস্পতিবার থেকেই ২৫ বছর বয়সী বাংলাদেশি নাগরিক সুরক্ষা ওয়েবসাইটে (surokkha.gov.bd) প্রবেশ করে করোনার টিকার জন্য নিবন্ধন করতে পারবেন।

দেশে গত ৭ ফেব্রুয়ারি গণটিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। এর পরের দিন করোনার টিকার জন্য নিববন্ধনের জন্য ৪০ বছর বয়সসীমা নির্ধারণ করে সরকার। সেদিন দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ নির্দেশনা দেন। এর আগে ৫৫ বছর বয়সীদের টিকার জন্য নিবন্ধন করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল।

এসএইচ-০২/৩১/২১ (ন্যাশনাল ডেস্ক)