৬ দিনে ৬০ লাখ টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা

দেশের সব মানুষকে টিকার আওতায় আনার পরিকল্পনায় ৭ আগস্ট থেকে শুরু হচ্ছে মহাযজ্ঞ। এবার কেবল হাসপাতালে নয়, তৃণমূল পর্যায়েও দেওয়া হবে টিকা। পুরো প্রক্রিয়া বাস্তবায়নে ইউনিয়ন ও পৌরসভায় প্রতি ওয়ার্ডেই থাকবে নির্ধারিত টিম। আর সিটি করপোরেশন এলাকায় প্রতি ওয়ার্ডে থাকবে ৩টি করে বুথ।

কোভিড সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এখন টিকাকেই মুখ্য হাতিয়ার বানাতে চায় সরকার। সে লক্ষ্যে আগামী ৭ আগস্ট থেকে দেশজুড়ে শুরু হচ্ছে ৬ দিনের বিশেষ প্রচারণা। টিকা কার্যক্রমের প্রচলিত ব্যবস্থার আদলে এবারের কর্মসূচিতে যুক্ত করা হচ্ছে ইপিআই কর্মীদের। এরই মধ্যে শেষ হয়েছে মাস্টার ট্রেনারদের কর্মশালা, চলতি সপ্তাহেই সম্পন্ন হবে সব কর্মীর প্রশিক্ষণ।

৬ দিনের বিশেষ এ কর্মসূচির লক্ষ্য কমপক্ষে ৬০ লাখ মানুষকে টিকার আওতায় আনা। সিটি করপোরেশনে দেওয়া হবে মডার্না, বাকি এলাকায় সিনোফার্ম।

কর্মসূচিতে প্রতি ইউনিয়নে থাকবে ৩ টিম, আর পৌরসভা পর্যায়ে প্রতি ওয়ার্ডে এক টিম। রাজধানীসহ দেশের ১২ সিটি করপোরেশন এলাকায় প্রতি ওয়ার্ডে কাজ করবে ৩টি করে বুথ, প্রতি বুথে কমপক্ষে ২০০ মানুষকে টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা। সে হিসেবে রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনের ১২৯ ওয়ার্ডে থাকবে ৩৮৭ বুথ, ৬ দিনে লক্ষ্য পৌনে ৫ লাখের মতো টিকা দেওয়ার।

প্রচারণার সময় বিশেষ গুরুত্ব থাকবে বস্তি এলাকা ও কারখানার শ্রমিকদের টিকার আওতায় আনা। ১৮ ব্ছর বেশি বয়সীরা জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে গেলেই পাবেন টিকা। প্রথম ডোজ দেওয়ার পর সবাইকেই নিবন্ধন করিয়ে নেবেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। যাদের এনআইডি নেই, তাদেরও টিকা দেওয়া হবে বিশেষ ব্যবস্থায়।

কোভিড টিকা বিতরণ ও প্রস্তুতি বিষয়ক জাতীয় কমিটির সদস্য ডা. মুশতাক হোসেন বলেন, ‘প্রতি মাসে এক থেকে দুই কোটি টিকা দেওয়ার সক্ষমতা বাংলাদেশের আছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিকল্পনা আছে যে, সেপ্টেম্বরের মধ্যে শতকরা ১০ ভাগ ও ডিসেম্বরের মধ্যে ৪০ ভাগ মানুষকে টিকার আওতায় আনা।’

এদিকে, কর্মসূচিকে সফল করতে টিকার মজুদ অব্যাহত রাখার দিকে নজর রাখার তাগিদ বিশেষজ্ঞদের।
টিকা বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. বে-নজির আহমেদ বলেন, ‘আমরা যদি আমাদের ৮০ ভাগ লোককে টিকা দিতে চাই আমাদের টিকার পর্যাপ্ত মজুদ থাকতে হবে।

পাশাপাশি আমাদের মাথায় রাখতে হবে, আমরা এমন টিকাটাই দেব, যেটা দ্বিতীয়বার যেন নিশ্চিত করতে পারি।’

পর্যাপ্ত মজুদ সম্ভাবনা তৈরি হওয়ায় চলতি সপ্তাহেই শুরু হতে পারে অ্যাস্ট্রাজেনেকার দ্বিতীয় ডোজ না পাওয়া ব্যক্তিদের টিকা দেওয়া।

এসএইচ-১১/৩১/২১ (ন্যাশনাল ডেস্ক)