‘পরিস্থিতি খারাপ হলে ফের কঠোর লকডাউন’

দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি খারাপ হলে ফের কঠোর লকডাউন দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, পরিস্থিতি খারাপ হলে লকডাউনের কোনো বিকল্প নেই। পৃথিবীর যে কোনো দেশে সংক্রমণ বাড়লেই, যেমন অস্ট্রেলিয়াতে সেনাবাহিনী নামানো হয়েছে, কারফিউ দেওয়া হয়েছে, সেখানে লকডাউন দেওয়া হয়েছে। আমেরিকাতেও দেওয়া হয়েছে। দেওয়া হচ্ছে কেন? কারণ এর কোনো বিকল্প নেই।

তিনি বলেন, পরিস্থিতি খারাপ হলে দুটি কৌশলই আমরা অবলম্বন করব। একটা হলো বিধিনিষেধ বা লকডাউন, আরেকটি হচ্ছে ছেড়ে দেওয়া। কিন্তু সবাইকে মাস্ক পরতে হবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে বিধিনিষেধের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলাম। এক্ষেত্রে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ বিভিন্নভাবে তাদের অপরিহার্যতা… এটা খোলা প্রয়োজন, কারণ হচ্ছে ব্যবসা করে, কাজ করে, তাদের দিকে তাকিয়ে কিন্তু এ বিষয়গুলো শিথিল করা প্রয়োজন। যদিও পরিস্থিতি কিন্তু এখনো সন্তোষজনক নয়। সেটা ৫ ভাগের নিচে আনতে হবে।

তিনি বলেন, আমরা ধাপে ধাপে বিধিনিষেধগুলো শিথিল করছি। তার ধারাবাহিকতায় আজকে আরেকটি প্রজ্ঞাপন হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে পর্যটনকেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদন কেন্দ্র যে পরিমাণ আসন, তার অর্ধেক বা ৫০ ভাগ ব্যবহার চালু করতে বলা হয়েছে। আমরা বলছি, আগামী ১৯ আগস্ট থেকে যানবাহন শতভাগ চলবে।

কোভিড-১৯ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধ মঙ্গলবার মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। বুধবার থেকে আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরেছে সারা দেশ। স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রায় সবকিছু খুলে দেওয়া হয়েছে।

এর আগে গত রোববার মন্ত্রিপরিষদের উপ সচিব মো. রেজাউল ইসলাম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বিধিনিষেধ শিথিল করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

যেখানে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে অফিস আদালত খোলার পাশাপাশি সব আসনে যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন চলার অনুমতি দেওয়া হয়। এছাড়া, শপিংমল, মার্কেট ও হোটেল-রেস্তোরাঁ খোলা রাখার ব্যাপারেও বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়।

এসএইচ-১৩/১২/২১ (ন্যাশনাল ডেস্ক)