মাদক মামলায় নাসির-অমির বিরুদ্ধে চার্জশিট

ঢাকা বোট ক্লাবে চিত্রনায়িকা পরীমনিকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগের মামলায় জামিনে থাকা ব্যবসায়ী নাসিরউদ্দিন ও অমির বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় করা মাদক মামলায় আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। তদন্তে তিন নারীর সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় তাদের অব্যাহতির আবেদন করা হয়েছে।

শনিবার দুপুরে বিমানবন্দর থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক ফরিদ আহম্মেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, গত ২৭ জুলাই ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে এ চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে আদালতে স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় চার্জশিটের কোনো কার্যক্রম হয়নি।

এর আগে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তার বন্ধু অমির নাম উল্লেখ করে সাভার থানায় মামলা করেছিলেন পরীমনি। এ মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও চারজনকে আসামি করা হয়েছিল। ওই দিনই উত্তরার একটি বাসা থেকে নাসির-অমিসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ।

সেদিন অমির বাসা থেকে এক হাজার পিস ইয়াবা, বিদেশি মদ ও বিয়ার জব্দ করে পুলিশ। পরে ডিবি গুলশান জোনের উপপরিদর্শক মানিক কুমার সিকদার বাদী হয়ে বিমানবন্দর থানায় তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে আরেকটি মামলা করেন।

মাদক মামলার রিমান্ড শেষে গত ২৩ জুন আদালতে হাজির করা হয় আসামিদের। তারপর পরীমনির মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছিলেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। শুনানি শেষে নাসির-অমির ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজীব হাসান।

রিমান্ড শেষে ২৯ জুন ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাদের হাজির করে পুলিশ। এ সময় তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত নাসির-অমিকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক কামাল হোসেন। অন্যদিকে নাসির-অমির আইনজীবীরা জামিন আবেদন করেন। দু’পক্ষের শুনানি শেষে তাদের জামিন মঞ্জুর করেন ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাহজাদী তাহমীদা।

গত ৩০ জুন বিমানবন্দর থানার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় নাসির উদ্দিনসহ অপর তিন আসামির পক্ষে তাদের আইনজীবীরা জামিন আবেদন করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত নাসিরসহ চারজনের পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় জামিন মঞ্জুর করেন।

রাজধানীর বনানী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দায়ের করা মামলায় দুই দফা রিমান্ড শেষে পরীমনি কারাগারে রয়েছেন। গত ৪ আগস্ট সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে পরীমনিকে তার বনানীর বাসা থেকে আটক করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

এসএইচ-০৪/১৪/২১ (ন্যাশনাল ডেস্ক)