আফগানিস্তান ফেরতরা দেশে ঢুকলেই গ্রেপ্তার

আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করা দেশটির সশস্ত্র গোষ্ঠী তালেবানের আহŸানে সাড়া দিয়ে বাংলাদেশ থেকে যারা হিজরত করেছেন, দেশে ফিরলেই তাদের গ্রেপ্তার করা হবে। তাদের পরিবার এবং হিজরতকারীদের বিষয়ে সতর্কাবস্থায় রয়েছেন কাউন্টার টেররিজম ইউনিটসহ অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা।  সোমবার নিজ কার্যালয়ে এসব কথা বলেন ডিএমপি (ঢাকা মহানগর পুলিশ) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে কতজন আফগানিস্তানে গেছে কিংবা সেখানে কতজন অবস্থান করছেÑ এসব তথ্য আমাদের দেশের গোয়েন্দাদের থেকেই পাওয়া যায়। রাষ্ট্রীয়ভাবে আফগানিস্তান থেকে আমাদের বলা হয়নি এতজন বাংলাদেশি দেশ থেকে পালিয়ে গেছে কিংবা আটক হয়ে কারাগারে রয়েছে। এসব নিয়ে দেশে যারা কাজ করেন তারা সতর্ক রয়েছেন। আফগানিস্তান থেকে হিজরতকারীরা যদি বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টা করে, তা হলে তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, যে ঢেউটা শুরু হবে তা মোকাবিলার জন্য সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। শুধু পুলিশের একার পক্ষে নয়, প্রত্যেক অভিভাবক ও কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়সহ প্রত্যেকের সহযোগিতা করা উচিত। যদি কারও সন্তান কিংবা ছাত্র হঠাৎ করে কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে চলে যায়, তা হলে তার বিষয়ে দ্রæত পুলিশকে জানানো উচিত।

বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের উৎপত্তি আফগানিস্তানকেন্দ্রিক জানিয়ে তিনি বলেন, আফগানিস্তান ফেরত বাংলাদেশিরাই পরে হরকাতুল জিহাদ (হুজি), জেএমবিসহ একাধিক জঙ্গিগোষ্ঠী তৈরি করেছিল। এসব জঙ্গিগোষ্ঠী তৈরির প্রাথমিক উদ্দেশ্য ছিল তারা কাশ্মীরে গিয়ে যুদ্ধ করবে। পরে বাংলাদেশেই তারা খিলাফত কায়েমের জন্য আন্দোলন শুরু করে।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, আইএসের উদ্ভব হওয়ার পর বাংলাদেশে দ্বিতীয় দফা জঙ্গি সংগঠন তৈরি হয়। আইএস ভাবাদর্শের নব্য জেএমবি। বাংলাদেশে জঙ্গিদের যে উত্থান হচ্ছে, তা সব সময়ই আন্তর্জাতিক কোনো ঘটনার প্রেক্ষাপটের পর উৎসাহ পাচ্ছে।

এসএইচ-১০/১৬/২১ (ন্যাশনাল ডেস্ক)