করোনায় দীর্ঘ বিরতির পর পাসপোর্ট অফিসে এখন উপচেপড়া ভিড়। ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়েও মিলছে না কাঙ্ক্ষিত সেবা। এদিকে, প্রায় একমাস থমকে থাকা এমআরপি কার্যক্রম আবার শুরু হয়েছে। প্রিন্টিং স্বাভাবিক রাখতে নতুন করে কেনা হয়েছে ৪০ লাখ এমআরপি বই। নতুন করে দুই বছরের চুক্তি হয়েছে মালয়েশীয় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে।
অধিদপ্তর বলছে, এমআরপি পাসপোর্ট পেতে আর দুর্ভোগে পড়তে হবে না। করোনায় দীর্ঘ বিরতির পর এখন পুরোপুরি স্বাভাবিক অফিস। কোথাও যেন তিল ধারণের ঠাঁই নেই।
এরইমধ্যে বেশিরভাগ দেশ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার কারণে পাসপোর্ট জমা থেকে ছবি তোলা – সবখানেই মানুষের দীর্ঘ সারি।
এই যখন অবস্থা তখন আগে যারা আবেদন করেছেন তাদের দফায় দফায় ঘুরেও ফিরতে হচ্ছে পাসপোর্ট ছাড়াই।
অফিসে আসা এক ভুক্তভোগী বলেন, আমি দশবার এসেছি। কিন্তু এখনো পাসপোর্ট পাইনি। বলে এসএমএস যাবে মোবাইলে কিন্তু সেই এসএমএস আর আসে না।
এক নারী জানান, পাসপোর্ট অফিস থেকে আমাকে জানানো হয় আমার কাগজপত্র মালিবাগের এসবি অফিসে আছে। সেখানে গিয়ে জানতে পারি কাগজ নেই, কাগজ আছে সদরঘাটে। এভাবে ঘুরছি কয়েকদিন ধরে।
এক ব্যক্তি জানান, কোথায় কাগজ আটকে আছে সঠিক কোনো তথ্য তারা দিতে পারছে না আমাদের।
একদিকে করোনা অন্যদিকে দীর্ঘদিনের পুরোনো এমআরপি মেশিন নিয়ে বিপাকে পাসপোর্ট অধিদপ্তর। মালয়েশীয় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি শেষ হয়ে যাওয়া আর সফটওয়্যার সমস্যায় প্রিন্টিং জটিলতায় পড়তে হয় অধিদপ্তরকে।
বিদেশের মিশনগুলোতেও বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সেবা বন্ধ রাখা হয়। ফলে সংশয়ে ছিল প্রবাসীরাও। অধিদপ্তর বলছে এমআরপি নিয়ে এখন আর জটিলতা নেই।
ইমেগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আইযুব চৌধুরী বলেন, বন্ধ হয়েছিল- স্লো ডাউন হয়েছিল। এটা আবার চালু হয়ে গেছে, চলছে। আবার অন্য কোনো কারণে হবে না, সেটার নিশ্চিয়তা দেওয়া যাবে না, কারণ ১১ বছর হয়ে গেছে মেশিনটা আনা। এটাকে টিকিয়ে রাখাই আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ। বৈদেশিক মিশনগুলো এ বিজ্ঞতি কেন দিল, কিভাবে দিল আমাদেরকে। মন্ত্রণালয় ও মন্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে। আসলে পাসপার্ট প্রদান কখনো বন্ধ হয়নি।
অন্যদিকে দেশের ৭২টি আঞ্চলিক অফিসে ই-পাসপোর্ট চালু করলেও এখনো বিদেশের কোনো মিশনেই চালু হয়নি। তবে চলতি মাসেই ইউরোপ দিয়ে বিদেশের মিশনে ই পাসপোর্ট কার্যক্রম চালু হচ্ছে।
মহাপরিচালক আরও বলেন, বিদেশের ৮০টি মিশনের সমস্ত যন্ত্রপাতি আনা আছে আমাদের। আমাদের এক্সপার্ট রেডি আছে, আমাদের ফরেন এক্সপার্ট রেডি আছে।
অধিদপ্তর আরও জানায়, সারাবিশ্বে পুরোপুরি ই-পাসপোর্ট চালুর আগ পর্যন্ত এমআরপি চালু থাকবে।
এসএইচ-১৯/২২/২১ (ন্যাশনাল ডেস্ক)